![]() |
ছবি: বড়াইল বাজার ব্রিজের উত্তরে হাতুরে ডাক্তার কাজী আবু তাহেরের "কাজী মেডিকেল হল" ডিসপেনসারিতে বসে জাকির চেয়ারম্যান শলাপরামর্শ করছেন। |
নবীনগর প্রতিনিধি :
জাকির চেয়ারম্যান বড়াইলের একজন ডেভিল এক স্বাক্ষাৎ শয়তান, ইবলিসের বংশধর
৩টি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে বড়াইল থেকে পালিয়ে গেছেন জাকির চেয়ারম্যান। বড়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইভিএমে জেতা বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের ২ বারের বিতর্কিত চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জাকির ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের পতনের পরও বহাল তবিয়তে ১২ মাস বড়াইলে ছিলেন দোর্দন্ড প্রতাপে। ভোটের রাজনীতিতে জিম্মি সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় তিনি এলাকায় তার অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
গাঞ্জাখোর, লম্পট, মাদকসেবী, চোর বাটপারদের কথিত জনপ্রিয় এই নেতা এখন বড়াইলের ডেভিলে পরিনত হয়েছেন নিজের কর্মদোষে। পাপ বাপকেও ছাড়ে না সেটাই এখন প্রমানিত। দখল করা সরকারী খাস জমিতে তৈরী ২ তলা বিল্ডিং জাকির চেয়ারম্যানকে নিজের উদ্যেগেই ভাঙ্গতে হয়েছে। জাকিরের দখল করা সে জমিটি এখন "বড়াইলের শিশু কিশোরদের খেলার মাঠ"। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে সেটিকে খেলার মাঠ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। একসময় জাকির চেয়ারম্যান বড়াইলে নিজের বাড়িতে বসে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে ২টি ডিজিটাল ক্যামেরা ভাঙ্গচুর ও ২টি এন্ডরয়েড স্মার্ট ফোন ভাঙ্গচুর ও লুট করে এলান করেছিলেন- সাংবাদিকরা উনার পকেটে থাকেন। উনার বিরুদ্ধে কেউ কোন কিছু লিখবে না। অথচ আজ এই সাংবাদিকদের লেখনির কারনেই জাকির চেয়ারম্যান তার সাধের আয়নাঘর ও টর্চার সেল ভাঙ্গতে বাধ্য হলেন। ২ তলা বাড়িতে নিজের হাতে সমাধি রচনা করলেন।
ঈদের পর ১০ জুন ২০২৫ ইং বড়াইল বাজারে দাঙ্গাহাঙ্গামা এবং মোহাম্মদ সুমন সরকার ও কাজী ফরিদকে হামলার ঘটনায় জাকির চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গপাঙ্গ হাতুরে ডাক্তার কাজী আবু তাহের, কাজী জালাল উদ্দিন, মাওলানা কাজী আলমগীর, কাজী সাব্বির ও আবু নাসের খাঁ ওরফে মোহাম্মদ আশরাফুলকে বিবাদী/আসামী করে নবীনগর থানায় অভিযোগও করেন বাদী মোহাম্মদ সুমন সরকার। নবীনগর থানার এস.আই মোতাহেরকে দিয়ে ১৮ জুন ২০২৫ ইল বড়াইলে সরজমিনে তদন্তও করান বাদী। এই দাঙ্গাহাঙ্গামা ও মাইরধরে জাকির চেয়ারম্যানের নাম ১নং বিবাদী বা আসামী হিসেবে এলেও তিনি বিষয়টি বাদী সুমন সরকারের সঙ্গে আপোষ করে ফেলেছেন বলে এলাকায় খবর রটেছে। সুমন সরকার জানিয়েছেন- পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের সম্মান রাখতে তিনি (উত্তম মধ্যম খেয়েও) বিবাদীদের সঙ্গে আপোষ করেছেন। বড়াইল বাজারে নিজের মিষ্টির দোকানের সামনে ফুফাতো ভাই সুমন সরকারকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর মাইর খাওয়া কাজী ফরিদও গোষ্ঠীগত স্বার্থে হামলাকারীদের সঙ্গে আপোষ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বড়াইল বাজারের উত্তরে ৪৩ শতক সরকারী খাস জমি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে জাকির চেয়ারম্যান দখল করেছিলেন। সেটা থেকে এই ভূমিদস্যু চেয়ারম্যানকে উচ্ছেদ করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কাছে এক সাংবাদিক নেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং এটিএন নিউজ, নবীনগর টিভি, বড়াইল টিভি সহ নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি, ঢাকা, নবীনগর উপজেলা গ্র্যাজুয়েট এসোসিয়েশন, বড়াইল রংধনু পাঠাগার, আলোকিত বড়াইল, বড়াইল ইউনিয়ন কল্যাণ সমিতি, বড়াইলের আমজনতা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যম গ্রুপে অব্যাহত নিউজ প্রচার প্রকাশ ও লেখনির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জাকির চেয়ারম্যানকে দখল করা খাসজমি থেকে উচ্ছেদ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নবীনগর। এজন্য জাকির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলাও করে প্রশাসন। গোসাইপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা এ মামলা করেন। বাধ্য হয়ে নিজ উদ্যোগে ২ তলা বিল্ডিং সরিয়ে নিতে বাধ্য হন জাকির চেয়ারম্যান। বাড়ি সরানোর পরপরই তার বিরুদ্ধে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর উদ্যোগে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। "অপারেশন ডেভিল হান্ট" এর অংশ হিসেবে বড়াইলের ডেভিল জাকির চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করতে মরিয়া এখন প্রশাসন। কোন রাজনৈতিক প্রভাব এবার কাজ করছে না।
বড়াইলের সুবিধাবাদী মানুষজন যতই জাকির চেয়ারম্যানের অবৈধ টাকার কাছে বিক্রি হোক না কেন এখনো সত্য কথা ও ন্যায়ের পথে চলার মতো লোক আছে বড়াইলে। বড়াইলের নরকের কিট মাদকের গডফাদার, লম্পট, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, মামলাবাজ, ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার লোক এখনো বড়াইলে আছেন সেটাই আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের বার্তা দিচ্ছে। বড়াইলের আপোষহীন এক সৎ শিক্ষাগুরুর ছেলে এক সাংবাদিক নেতা আজ প্রমান করেছেন মদারু, সুদারু, লম্পট, চোর, ডাকাত, বাটপার ও মাদকসেবীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়(!) জাকির চেয়ারম্যান (সল্টু চেয়ারম্যান) আসলে বড়াইলের একজন ডেভিল, এক স্বাক্ষাৎ শয়তান, ইবলিসের বংশধর। দেশের সব সাংবাদিক যে জাকিরের পকেটে থাকে না সেটা আজ সবাই ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন বড়াইলে।