খেলার প্রতিবেদক :
এমন কোন বিপিএল আসরের ফাইনালে নেই যাতে টিকিট কালোবাজারে যায়নি। এটা স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু ২০২৩ সালের মেগা ফাইনালের দুই দিন আগে থেকে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খোদ বিসিবির অন্দর মহলে তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন কম্ম।
বিসিবির পিয়ন থেকে কর্মচারী সকলেই টিকিট বাণিজ্যের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে গতকালই। কিন্তু এর বাস্তব চিত্র পাওয়া গেল আজ মেগা ফা্ইনালের আগে সকালে। এতটি টিকিটে জন্য হা-হা-কার চলছিল মিরপুর এলোকা গুলোতে। রাস্তায় হাজার মানুষ একটি টিকিট পেতে মরিয়া।
অন্যদিকে ক্রীড়াঙ্গনে সাংবাদিকতা করছে বছরের পর বছর, তাদের অফিস থেকেও টিকিট কিনে দিতে চাপ দিচ্ছে মালিকপক্ষ। কিন্তু টিকিট কোথায়? অফিসের মালিকপক্ষে কাছেে একজন সাংবাদিক সম্মান বাঁচাতে নিজ পকেটে থেকে টাকা দিয়ে কালো বাজার থেকে টিকিট কিনতে দেখা গেল!
হবাক করা ঘটনা, ৪০০ টাকার গ্যালারির টিকিট ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০০০ টাকার টিকিট ২৫০০ টাকা আর ২০০০ টাকার টিকিট ৩৫০০ টাকা!
কোথাও টিকিট নেই, অথচ কালো বাজারে টিকিট পাচ্ছে কোথা থেকে? তদন্ত করে দেখা গেল, সর্ষের ভেতরে ভূত বসে আছে। টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট বাইরে চলে গেছে। এছাড়া বিসিবির ভেতর থেকে কিছু অসাধু পিয়ন-কর্মচারী মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে টিকিট বাণিজ্য করতে।
ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘন্টা আগেও জানা গেছে বিসিবির ভেতরে কোন কোন পিয়ন ৮০০ টাকার টিকিট ১৬০০ টাকায় বিক্রয় করছে। আসলে কালো বাজারীদের দোষ দিয়ে লাভ কি? বিপিএলের ফাইরালে টিকিট বাণিজ্যে অগ্রনী ভূমিকায় বিসিবি-ই।
