আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহতম ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে অনেক আগে।উপরওয়াল কৃপায় বেঁচে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। তীব্র শীত, নেই কোন গরম কাপড়, খাবার, বিশুদ্ধ পানি। বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই ভূমিকম্প, ইউরোপে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তুরস্কে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্প। আরও শতাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয় পরের দিনগুলোতে। এতে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণ ও সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।
তুরস্ক আর সিরিয়ার অসহায় মানুষ গুলোর দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এর মধ্যেই দুঃখজনক একটি ঘটনা ঘটে গেছে জার্মানিতে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো দেশগুলোও। তুরস্কে ভূমিকম্প-দুর্গতদের জন্য জোগাড় করা বিপুল পরিমাণ ত্রাণ জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
কাতারভিত্তিক-সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মার্ল শহরে ত্রাণের জিনিসপত্রে আগুন লাগাচ্ছেন এক ব্যক্তি। পরে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এক দমকলকর্মী। তবে কে এবং কেন তুরস্কের ওই ত্রাণে আগুন লাগালো তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো প্রতিবেদনও পাওয়া যায়নি।
তুর্কি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৯৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘ ও সিরীয় সরকারের তথ্য বলছে, সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৮০০ জনের বেশি। তুরস্কে অন্তত আট হাজার মানুষকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক। ভূমিকম্পের পর সহমর্মিতা জানানো এবং সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
সূত্র : আল-জাজিরা
