আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ডিপার্টমেন্টের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরমাণু বোমার উপাদান মাত্র ১২ দিনেই তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে ইরানের।’
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করেছিল ইরান। ওই সময় পরমাণু বোমার উপাদান তৈরি করতে এক বছরের বেশি সময় লাগতো তেহরানের।
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম কিংবা গোপনে অস্ত্র তৈরি করছে এমন কথা প্রায়শ শোনা যায়। তবে কি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে দেশটি, এ প্রশ্নের উত্তর মেলে না। পরমাণু অস্ত্র তৈরির কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে তেহরান। তবে, পরমাণু তৈরির মূল উপাদান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে দেশটি। এবার খোদ এক মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তার মতে, পরমাণু অস্ত্রের উপাদান মাত্র ১২ দিনেই তৈরি করতে পারবে ইরান। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ইরানের সঙ্গে হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, সম্প্রতি সময়ে সেই চুক্তিতে ফেরত যেতে তোড়জোড় করছে বাইডেন প্রশাসন। এ নিয়ে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে তর্কবিতর্ক চলে গতকাল। ঠিক সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতিমালা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কলিন কাহল এ মন্তব্য করেন।
নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে করে প্রতিরক্ষা ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় পজিশনে থাকা কলিন কাহল বলেন, ‘ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ক জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তি থেকে আমরা বের হবার পর তারা ব্যাপক অগ্রগতি করেছে। ২০১৮ সালে আমরা যখন জেসিপিওএ থেকে বের হয় তখন তাদের একটি পরমাণু বোমার উপাদান তৈরিতে এক বছর সময় লাগতো। কিন্তু, এখন এই উপাদান তৈরিতে তাদের ১২ দিন সময় লাগে।’
কলিন আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, কূটনৈতিকভাবে তাদের বাধা দিতে হবে। বর্তমানে এটিই সবচেয়ে ভালো পথ। কারণ এ ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই।’
.png)