খেলার ডেস্ক :
সিরিজ হার এড়াতে হলে কাল সাকিব ও মুশফিকের মতো তারকাদের আরও বেশি প্রয়োজন হবে স্বাগতিক দলের। কাল ১-০ ব্যবধানে পেছনে থেকে মাঠে নামে বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ জিতে নিতে মাঠে নামবে।
ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে লিড নেওয়ার গুরুত্ব ভালোই জানে ইংল্যান্ড। শেষবার এটি ঘটেছিল ২০১৬ সালে, ইংল্যান্ড দ্বিতীয় খেলায় জয়ের সাথে স্বাগতিক দলকে পেছনে ঢেলে দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল।
প্রকৃতপক্ষে, প্রথম ম্যাচে হারের পর বাংলাদেশ শেষবার দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল প্রায় আট বছর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এবার কি সে দৃশ্য নতুন করে চিত্রায়িত হবে!
বুধবার প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের তিন উইকেটের জয়টা বড় ব্যাপার। অতিথি দল অভ্যস্ততার চেয়ে একেবারে ভিন্নভাবে খেলে বাংলাদেশের দুর্গ ভেঙ্গেছে। শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম স্পিনারদের জন্য আরও অনেক কিছু অফার করে, পরিস্থিতি স্পষ্টতই বৈচিত্র্যময় ছিল।
তারপরও ইংল্যান্ড প্রধানত তাদের পেসার ব্যবহার করে স্বাগতিকদের আক্রমণ ও সীমাবদ্ধ করতে সফল হয়েছে। দাউদ মালানের অপরাজিত সেঞ্চুরি তাদের নিজস্ব ব্যাটিং স্লাইডকে আটকানোর আগে তারা বাংলাদেশকে ২০৯ রানে আউট করে দেয়। এই মালান গত দশ বছরে বাংলাদেশে 50টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন।
কিন্তু এই অবস্থার আরও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান তাদের ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি সুবিচার করতে পারেননি। মধ্য ওভারে তাদের আউট, স্লগিং স্পিনার উভয়ই বাংলাদেশের বাকি ব্যাটিং লাইন আপ থেকে একটি পুনর্বিন্যাসকে প্ররোচিত করেছিল।
দুই দলই তাই ব্যাটিং উন্নতির দিকে তাকিয়ে থাকবে। মালানের নকই ইংল্যান্ডের পক্ষে একমাত্র ইনিংস ছিল যখন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্রয়োজন শুরুর সেরা ব্যবহার করতে। তবে উভয় দলকেই যেটা উৎসাহিত করবে তা হল তাদের সুশৃঙ্খল বোলিং। তাসকিন আহমেদ ও বাংলাদেশের স্পিনারদের হার্ট আউট করেন। তারা বাকি তিনটি উইকেট নিতে পারেনি, তবে তারা বেশ কম স্কোর রক্ষা করেছিল।
ইংল্যান্ডের বোলারদের অবস্থাও ভালোভাবে বুঝতে পেরেও সাকিব-তামিমরা সফল হয়নি। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে কাল আরেকটি টাইট ম্যাচ হবে এটা প্রত্যাশা করা যেতেই পারে।

