দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। টি২০ দলে নাসির নেই, অবহেলা না কি নির্বাচকদের ইচ্ছাকৃত . . . - Durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Thursday, March 2, 2023

টি২০ দলে নাসির নেই, অবহেলা না কি নির্বাচকদের ইচ্ছাকৃত . . .

খেলার প্রতিবেদক :

কোন একটা সময় ছিল ক্রিকেট মাঠে নাসির হোসেনের নামটা দর্শকদের মুখে মুখে ছিল। কিন্তু সেটা এখন শুধুই স্বপ্ন। নাসির এখন জাতীয় ক্রিকেট দলের কাছে স্মৃতি ছাড়া কিছুই না। যদিও নাসির একসময় জাতীয় দলে ছিলেন নিয়মিত মুখই ছিলেন। ছিলেন মূল একাদশের অপরিহার্য সদস্য। অনেক ম্যাচের জয়ের নায়ক নাসির হোসেন এখন নেই জাতীয় দলে। 


এবারের বিপিএলে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে কেড়েছেন নির্বাচকদের নজর। ভক্তদের প্রশংসাও পেয়েছেন বেশ। কিন্তু বিপিএলের ভালো করা একাধিক ক্রিকেটারকে নিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করা হলেও নেই নাসিরের নাম। কেন এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করেও দলে সুযোগ পেলেন না নাসির? এটা কি নাসিরের প্রতি অবহেলা না কি নির্বাচকদের ইচ্ছাকৃত . . .।


হয়তো এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্তদের মনে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফিনিশার শব্দটা সবার আগে বসেছিল নাসিরের নামের পাশেই। পরে আবার এই নামের কারণেই নাসিরকে প্রচুর ট্রলও সহ্য করতে হয়েছে। ফিনিশার ফিনিশ হয়ে গেছেন এমন কটূক্তি শুনতে হয়েছে নিয়মিতই। কিন্তু দিন বদলায়। নাসিরও বদলেছেন। সমালোচনাকে দূরে ঠেলে পারফরম্যান্স দিয়ে ঠিক জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেট ভক্তদের মনে। কিন্তু নির্বাচকরা জাতীয় দলের আলো থেকে দূরেই রাখলেন এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে। 


২০১৮ সালে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন নাসির। এরপর যে লম্বা বিরতি, সেটি মূলত ফর্মের কারণেই। নাসিরের ছায়াসঙ্গী হয়েছে মাঠের বাইরের বিতর্কও। চোটের কারণে লম্বা সময় ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলতে পারেননি। একটা সময় মনে হয়েছে, আসলেই হয়তো ‘ফিনিশ’ হয়ে গেছেন নাসির।


বিপিএলের নবম আসর সে ভুলটাই ভেঙে দিল। বিপিএলের নবম আসরে ঢাকার অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন নাসির। দলকে ভালো কোনো অবস্থানে নিতে না পারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ১২ ম্যাচে ৪৫.৭৫ গড়ে ৩৬৬ রানের পাশাপাশি ৬.৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। দলকে সেমিতে নিতে পারলে হয়তো জিততে পারতেন আসরসেরার পুরস্কারও। ১২ ম্যাচের মধ্যে ঢাকার ৩টি জয়ে নাসিরই ছিলেন প্রাণভোমরা। এমন পারফরম্যান্সের পর নির্বাচকরাও শুনিয়েছিলেন নাসিরকে নিয়ে আশার বাণী। কিন্তু সেই বাণী ফলেনি কাগজেকলমে।


নাসির অবহেলিত হলেও নবম বিপিএলে ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়িয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পেছেন তৌহিদ হৃদয়, তানভীর ইসলাম ও রনি তালুকদার। একাধিক চমক নিয়ে দল গড়লেও নাম নেই শুধু নাসিরের। তাতে হয়ত নিজেকে হয়তো দুর্ভাগাই মনে করছেন নাসির! 


বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, নুরুল হাসান সোহান, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, রনি তালুকদার, তৌহিদ হৃদয়, রেজাউর রহমান রাজা ও তানভীর ইসলাম।