৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পা রাখে বাংলাদেশ। তামিম, লিটন দ্রুত ফেরত গেলে বাংলাদেশ প্রচন্ড চাপে পড়ে, স্কোর ৪০/২! এরপর বিপিএলে দুর্দান্ত জুটি সিলেটের শান্ত-হৃদয় ১০২ বলে ১৩১ রানের পার্টনারশীপ গড়ে জয়ের ভিত্তি রচনা করে। হৃদয় ৫৮ বলে ৬৮ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরত গেলেও শান্ত ছিলেন অবিচল। পাশে পেলেন অলরাউন্ডার সাকিবকে।
তবে ২৬ রানের বেশি যেতে পারলেন না সাকিব। শান্ত এবার সঙ্গী পেলেন মুশফিকুর রহিমকে। এরপরই শান্ত আরও মারকুটে হয়ে উঠলেন। ৯৩ বলে ১২টি বাউন্ডারি আর ৩টি বিশাল ছক্কা দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে ১১৭ রানে ক্যাচ দিয়ে থামলেন। শান্ত ফেরত যাবার পর ক্রিজে মুশফিক সঙ্গী পেলেন অলরাউন্ডার মিরাজকে। কিন্তু ১২ বলে ১৯ রান করা মিরাজ এলবি’র ফাঁদে পড়ে গেলেন।
এরপর এলেন স্পিনার তাইজুলকে, স্কোর ২৫৭/৫, ওভার ৩৬.৫। সেট হয়ে যাওয়া তাইজুল বার বার বলের লাইন মিস করছিলেন। শেষমেষ ১৩ বলে ৯ রানে এলবি’র ফাঁদে কাটা গেলেন। তাইজুলের বিদায়ের পর নেমেই চার মারলেন পেসার শরিফুল।
লক্ষ্য থেকে ১১ রান দূরে থাকতে সপ্তম উইকেট হারালো বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম এলবিডব্রিউ হয়েছেন। ১৩ বলে ৯ রান করেন তিনি। নেমে প্রথম বলেই চার মেরে স্বস্তি ফেরান শরিফুল ইসলাম। শেষ ৬ বলে ৫ রান দরকার। আর ৪৪.২ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৪ বলে ৪ রান। মুশফিক পেস বলের গতির সাথে তাল রেখে উইকেটরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে ব্যাটে বল লাগিয়ে পেছনে তুলে দিলেন। বল সোজা মাঠের বাইরে, ৩ বল না খেলেই বাংলাদেশ ৪৪.৩ ওভারে ৩২০ রানে পা রাখে ৭ উইকেটের খরচায়। ২৮ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত রইলেন মুশি।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৪৪.৩ ওভারে ৩২০/৭ (মুশফিকুর ৩৬*, শরিফুল ৪*; তাইজুল ৯, মিরাজ ১৯, শান্ত ১১৭, হৃদয় ৬৮, সাকিব ২৬, লিটন ২১, তামিম ৭)
আয়ারল্যান্ড ৪৫ ওভারে ৩১৯/৬ (জর্জ ডকরেল ৭৪*, অ্যাডায়ার ২০*; হ্যারি টেক্টর ১৪০, কার্টিস ক্যাম্ফার ৮, টাকার ১৬, বালবির্নি ৪২, স্টিফেন ডোহেনি ১২, পল স্টার্লিং ০)।
ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী (৩ বল হাতে রেখে)।

