Sunday, 25 February 2024

‘আমরা আজও জানি না, এ ঘটনার পেছনের ইতিহাস কী’ - ড. মঈন খান


জাতীয় প্রতিনিধি :
১৫ বছর আগে বিডিয়ারে যে শোকাবহ ঘটনা ঘটেছিল, সেই ক্ষত নিয়ে আজও বাংলাদেশের মানুষের বুকের রক্ত ঝরে পড়ছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমরা আজও জানি না, এক ঘটনার পেছনের ইতিহাস কী। আমরা সেই শোক বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।


রোববার বনানী কবরস্থানে পিলখানায় সেনাহত্যাযজ্ঞে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে বিএনপি'র শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।


২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিয়ার বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। মঈন খান বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এমন ঘটনা ঘটেনি যেখানে একই স্থানে একসাথে ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনা কিভাবে ঘটেছে, এই ঘটনার যবনিকা পেছনে কঅ ছিল? আজকে বাংলাদেশের মানুষ সেই সত্যি জানতে চায়।


বাংলা ভাষায় একটা কথা আছে ‘বিচারের বাণী আজ নিভৃতে কাঁদে’ তুলে ধরে তিনি বলেন, বিচার যদি বিলম্ব হয়, সেই বিচারের কোনো মূল্য থাকে না।


তিনি বলেন, ৭৪ জন সেনা হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া এখনো ঝুলে আছে, কেন ঝুলে আছে, অভিযোগ যাদেরকে কারাগারে রাখা হয়েছে, এখনো কেন তাদেরকে বিনা বিচারে কারাগারে রাখা হয়েছে। এমন ঘটনা কোনো জাতির ইতিহাসে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে আমাদের জানা নেই।


বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পায় এমন প্রত্যাশা করেন মঈন খান।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত ফজলে এলাহী আকবর, রিয়ার অ্যাডমিরাল অবসরপ্রাপ্ত মুস্তাফিজ, এয়ার ভাইস মার্শাল অবসরপ্রাপ্ত ফখরুল আজম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জহুরুল আলম, এয়ার কমোডর অবসরপ্রাপ্ত শফিক, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফয়সাল, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী, লে. কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত নওরোজ, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত জয়নুল আবেদীন, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মেজর অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, মেজর অবসরপ্রাপ্ত কোহিনূর আলম নূর, মেজর অবসরপ্রাপ্ত আজিজ রানা, ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট অবসরপ্রাপ্ত হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত শোয়েব, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।