Monday, 26 February 2024

চট্টগ্রামকে ১৩৫ রানে আটকে দিল বরিশাল


খেলার প্রতিনিধি :
ম্যাচটি হারলেই বিপিএলের দশম আসর থেকে বাদ পড়তে হবে। এমন সমীকরণে মাঠে নেমে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে বড় রানের সংগ্রহ গড়তে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।


সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল দলপতি তামিম ইকবাল। 


ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার জশ ব্রাউন। এর বাইরে অধিনায়ক শুভাগত হোম করেন ১৬ বলে ২৪ রান। দলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছে চ্যালেঞ্জার্স বাহিনী। 


এ দিন ইনিংসের শুরুতে ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। দলটির ওপেনার তানজিদ তামিমকে থিতু হওয়ার আগে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৩ বলে ২ রান করে জুনিয়র তামিম আক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই সঙ্গী করতে পারেননি। এরপরে ব্যর্থ হয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইমরানুজ্জামান। জুনিয়র তামিমের পরে একটি জুটি চট্টগ্রামের খুব দরকার ছিল। কিন্তু  সে সময়ে আরও একটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে ফ্রাঞ্চাইজিটি।


উইকেটের এক প্রান্তে টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন ব্রাউন। তাকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন টম ব্রুস। তবে দুজনের কেউই দলের রানকে বেশি দূর নিতে পারেননি। ২২ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রান করে ব্রাউন যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন চট্টগ্রামের দলীয় সংগ্রহ ৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান। ১০ ওভারের মধ্যে ব্রুস (১১ বলে ১৭ রান) আউট হলে রানের চাকা ধীর হয়ে যায়। 


এরপরে ১৪ বলে ১১ রানের স্লো ইনিংস খেলে বিদায় নেন শৈকত আলী। অধিনায়ক শুভাগত চেষ্টা করেছেন রানের গতি বাড়াতে। কিন্তু তার ইনিংসও বেশি লম্বা হয়নি। ১৬ বলে ৪ চারের সাহায্যে ২৪ রান করে কাইল মায়ার্সের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। শুভাগতের পরে রোমারিও শেফার্ড ১৬ বলে ১১ রানের আরেকটি ধীর ইনিংস খেলেন। 

 
শেষদিকে দলের রানকে এগিয়ে নেওয়ার মতো কার্যকরী ইনিংস আসেনি চট্টগ্রামের। তাতে ২০ ওভারে ১৩৫ রান তুলতেই শেষ হয় চট্টগ্রামের ইনিংস। বরিশালের জার্সিতে বোলিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, কাইল মায়ার্স ও ওবেদ ম্যাককয়।