Wednesday, 6 March 2024

অভিযান লোক দেখানো, সবাই চাটুকার আসল জায়গায় হাত দেয় না


ঢাকা প্রতিনিধি :
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামে বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনার পর ঢাকার রেস্টুরেন্টে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার অভিযানকে বাড়াবাড়ি হিসেবে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। এখন পর্যন্ত ঢাকায় ৪০টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন সংস্থার ১২টি লাইসেন্স থাকার পরও সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে। এসব ঘটনাকে জুলুম হিসেবে আখ্যা দিয়েছে রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠনটি।


বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকট নিরসনে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে এসব বিষয়ে  রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসানকে প্রশ্ন করা হয়,  চলমান অভিযান নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?


তিনি জবাবে বলেন, "বহুজাতিক কোম্পানির হাতে ব্যবসা তুলে দেওয়ার জন্যই এই অশান্তি হচ্ছে। কথায় আছে- আগুনে কারো ঘর পুড়ে, আর সেই আগুনে কেউ আলু পোড়া দিয়ে খায়। আজকে আমাদের ঘর পুড়েছে এখন একটি গোষ্ঠী এখান থেকে ফায়দা লোটার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পাবেন গলিতে-গলিতে পুঁজিপতিরা ব্যবসা নিয়ে গেছে। সেখানে রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করছে। ২০-২৫ দিনের পুরনো বাসি খাবার বিক্রি করছে। আর সরকারে তাদের (বহুজাতিক কোম্পানির) পেইড এজেন্ট রয়েছে। এসব আমলারা অবসরে যাওয়ার পর ওইসব বহুজাতিক কোম্পানিতে যুক্ত হয়। সে জন্যই তাদের বিরুদ্ধে (বহুজাতিক কোম্পানির) এরা কখনো ব্যবস্থা নেয় না। গতকাল কর্ণফুলীতে এসআলম গ্রুপের চিনির কারখানায় আগুন লেগেছে। সেটা নিয়ে তো কেউ স্টেটমেন্ট দিলো না। এই আগুনের ঘটনাকে আমরা সেবটাইজ মনে করি। এর ফলে খুচরা বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়বে।


বর্তমানে দেশে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ এ পেশার ওপর নির্ভরশীল। হয়রানি না করে টাস্কফোর্স গঠন করে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।"