Tuesday, 5 March 2024

হামাস-ইসরায়েল অস্ত্রবিরতির জন্য কূটনৈতিক জোর তৎপরতা অব্যাহত

গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে হোয়াইট হাউসের মূল ফটকের বাইরে প্রতিবাদকারীদের অবস্থান। ছবি : এএফপি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজানকে সামনে রেখে গাজায় যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে মিশরের রাজধানী কায়রোতে আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আলোচনায় বসেছেন হামাসের প্রতিনিধি দল ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা।


ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আজ তৃতীয় দিনের মতো সন্ধিপ্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন। হামাসের হাতে থাকা পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় সাহায্য পণ্য পাঠানোর অনুমতিসহ আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছয় সপ্তাহের অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছানোর চুক্তির বিষয়ে চলছে এই আলোচনা। খবর এএফপির।


তবে আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়লেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই আলোচনায় অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে হামাসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তাদের হাতে থাকা জীবিত পণবন্দিদের তালিকা ইসরায়েলি মধ্যস্থতাকারীদের সরবরাহ করতে না পারায় ইসরায়েল আলোচনা থেকে সরে আসে।


অন্যদিকে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাঈম অভিযোগ করেছেন আলোচনায় ইসরায়েলি পক্ষ তাদের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের কোনো তালিকা বা নথিপত্র সরবরাহ করেনি।


ইসরায়েল অভিযোগ করে আসছে ২৫০ জন পণবন্দির  মধ্যে এখনো ১৩০ জন হামাসের হাতে বন্দি রয়েছে আর ৩১ জন মারা গেছে।


এদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে এবং গাজায় দুর্ভিক্ষ ধেয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্র দেশ ইহুদি রাষ্ট্রটির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্টজের সঙ্গে এক আলোচনায় গাজার মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


একই সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে গাজার উত্তরে দুটি হাসপাতালে না খেয়ে মারা গেছে ১০ ফিলিস্তিনি শিশু।


এছাড়া গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরে চলছে প্রচণ্ড লড়াই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সেখানে বিধ্বস্ত বাড়িঘরের পাশাপাশি রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে অনেক মরদেহ।