রবিবার, ৪ মে, ২০২৫

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোয় আর ‘মধ্যস্থতা’ করবে না আমেরিকা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আমেরিকার দাবি, তাদের অনেক চেষ্টার পরেও লাভ হয়নি! যুদ্ধ থামায়নি ইউক্রেন এবং রাশিয়া। এই আবহে আমেরিকার বিদেশ দফতর জানাল যে, এই দুই দেশের মধ্যে আর মধ্যস্থতার কাজ করবে না। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আমেরিকা আর ‘মধ্যস্থতাকারী’ হবে না। ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধ থামানো প্রসঙ্গেহ এমন ভাবেই রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে কলকাতার শীর্ষ পত্রিকা আনন্দবাজার।


কলাকাতা ভিত্তি প্রচাতি এই পত্রিকায় বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রুস বলেন, ‘‘আমরা সারা পৃথিবীতে বৈঠকে মধ্যস্থতা করার জন্য দৌড়ে বেড়াব না।’’ তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, দুই দেশ যাতে কোনও চুক্তিতে পৌঁছোয়, সে জন্য আমেরিকা বদ্ধপরিকর। ব্রুস আরও বলেন, ‘‘এই সংঘাত কী ভাবে শেষ হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে দুই দেশকেই। এটা ওই দুই দেশের উপরেই নির্ভর করছে।’’


এর আগে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়োর গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর। তাঁরা দু’জনেই জানিয়েছিলেন যে, যুদ্ধ থামানোর দায়িত্ব রাশিয়া এবং ইউক্রেন, দুই দেশের। ভান্স সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’-কে বলেন, ‘‘একটা চুক্তিতে পৌঁছনো এবং এই নির্মম যুদ্ধ থামানোর দায়িত্ব দুই দেশের। এটা খুব শীঘ্র শেষ হবে না।’’


প্রসঙ্গত, এক দিন আগেই খনিজ চুক্তি করেছে আমেরিকা এবং ইউক্রেন। এর ফলে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং দুর্লভ কিছু খনিজের নাগাল পাবে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘ দিন ধরেই এই চুক্তি কার্যকর করতে চাইছিল। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে বিপুল আর্থিক সাহায্য করেছিল আমেরিকা। এই চুক্তিতে সই করে সেই ‘ঋণের’ কিছুটা অংশ চোকাবে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দেশ। ইউক্রেনের আশা, এর ফলে কিভের কাছে আরও কিছু অস্ত্র বিক্রি করবে আমেরিকা, যা নিয়ে অতীতে বিধিনিষেধ ছিল। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দুই দেশে যুদ্ধ আরও গড়াবে?


দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ অবসান করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরে তার সময়সীমা সংশোধন করে জানান, এপ্রিল বা মে মাসে সমাধানে আসতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে কোনও শান্তি চুক্তি হয়নি বা এই বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতার উদ্যোগ থেকে আমেরিকা সরে আসতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।