আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, মঞ্চের সামনেই তাঁরা জুমার নামাজ আদায় করবেন। মঞ্চ থেকে এর মধ্যে আজান দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েত করার ঘোষণার পরপরই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। আর জুম্মার নামাজের পর থেকে ছাত্র-জনতার ঢল নামতে শুরু করে যমুনার সামনে রাস্তায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার পশ্চিম পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে। সকাল ১০টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, পাঁচটি পিকআপ ভ্যান একত্র করে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত এই জমায়েতে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে যমুনার সামনে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই জমায়েতের ঘোষণা দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।
জমায়েতে দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা হয় এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, জুমার নামাজের পর ফোয়ারার সামনে ছাত্রজনতা অবস্থান নেবে। ফয়সালা করেই তাঁরা ঘরে ফিরবেন।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ বিরামহীনভাবে চলছে। এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
কর্মসূচিতে ‘জুলাই আমার চেতনা, জুলাই আমার বিশ্বাস’, ‘বাংলাদেশের জনগণ নেমে আসুন, নেমে পড়ুন’, ‘ঢাকার জনগণ নেমে আসুন, নেমে পড়ুন’, ‘সাঈদ-আসিফ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ওয়াসিম-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।