রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

হামলায় প্রথমবারের মতো মাল্টি-ওয়ারহেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় প্রথমবারের মতো মাল্টি-ওয়ারহেড খেইবারশেকান (ক্যাসল-বাস্টার) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান।


ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ।


আইআরজিসি রবিবার জানিয়েছে, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’-এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার ২০তম তরঙ্গ চালিয়েছে তারা। হামলার এই সর্বশেষ তরঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০টি সলিড ও লিকুইড ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।


রবিবারের হামলায় আইআরজিসির বিমান বাহিনী প্রথমবারের মতো তৃতীয় প্রজন্মের মাল্টি-ওয়ারহেড ক্ষেপণাস্ত্র খেইবারশেকান ব্যবহার করেছে। 


এছাড়াও ক্ষেপণাস্ত্রের নিখুঁত লক্ষ্য ও ধ্বংসের মাত্রা বাড়াতে অত্যাধুনিক কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আইআরজিসি।


ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিয়েন গুরিয়ন বিমানবন্দর, ইসরায়েলি ‘বায়োলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার’ এবং এর বিকল্প কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারগুলোকে লক্ষ্য করে আঘাত হানেছে বলে জানিয়েছে আইআরজিসি।


ইরানি বাহিনী আরও জানিয়েছে, বিশেষভাবে নির্দেশিত এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘ম্যানুভারেবল’ (মোড় নেওয়ার সক্ষমতা) এবং ‘হাই-এক্সপ্লোসিভ’ ওয়ারহেড দিয়ে সাজানো। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত টার্গেটের দিকেই তাক করা ছিল।


প্রতিপক্ষ ইসরায়েলের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আঘাত হানলেই কেবল বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে আইআরজিসি।


তবে এখনো ইরানের বিমান বাহিনীর প্রধান ও সবচেয়ে বিধ্বংসী অংশ এখনো হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়নি।