আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও ইসরায়েলের মাঝে টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় শুক্রবার ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি করেছে। আঞ্চলিক এই সংঘাতে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোও জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত না হওয়ার দাবিতে এবার নিউইয়র্কে বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউজের সামনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম এক্সে বিক্ষোভকারীরা তাদের বিক্ষোভের ভিডিও পোস্ট করছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, শত শত মানুষ ম্যানহাটনে মিছিল করেছেন। টাইমস স্কয়ারের সামনেও মিছিল করেছেন। তারা ইরানে হামলার হুমকি ও গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের নিন্দা জানান।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে মুক্ত রাখার দাবিতে দেশটির প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ করছেন শত শত মানুষ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের প্রতি তাদের প্রাথমিক দাবি— এ সংঘাতে কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়া চলবে না। এছাড়া ইরানে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের নিন্দা এবং ইসরায়েলকে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের সাগরসীমায় তিনটি যুদ্ধবিমান বহনকারী রণতরী বা এয়্যারক্রাফট ক্যারিয়ার অবস্থান করছে। বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের দাবি— এই তিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে যেসব বিমান, গোলাবারুদ আছে, সেসব যেন আত্মরক্ষা ব্যতীত আর কোনো কাজে ব্যবহার করা না হয়।