ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জাকিরের বিরুদ্ধে সি.আর ৯৮/২০২৫ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ হয় গত ১৯ জুন ২০২৫ ( বৃহস্পতিবার)। আজ ২৪ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, এর বিচারক জনাব দেলোয়ার হোসেন ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।
স্থানীয় ও রাজস্ব হিসাব নিরীক্ষা, বাংলাদেশ এর সাবেক অডিট সুপারিনটেন্ডেন্ট, বীরগাঁও হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক, বড়াইলের প্রথম গ্র্যাজুয়েট, বড়াইল রংধনু পাঠাগারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক স্যার কাজী আব্দুল লতিফ সাহেবের বিরুদ্ধে কাজী আবু তাহের, কাজী জালাল উদ্দিন, মাওলানা কাজী আলমগীর গং এর মিথ্যা ও ষরযন্ত্রমূলক সি.আর ২১১/১৮ (নবীনগর) মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে মিথ্যা ও সাজানো রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে বড়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাকির হোসেন জাকির চেয়ারম্যান সহ মিথ্যা মামলার বাদী বড়াইল বাজারের 'কাজী মেডিকেল হল' এর স্বত্বাধিকারী কাজী আবু তাহের এবং সশরীরে হাজির হয়ে স্বাক্ষর ও টিপ সই দিয়ে জাকির চেয়ারম্যানের মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট তৈরীতে সহযোগিতাকারী মিথ্যা, বানানো, সাজানো ও ভাড়াটে স্বাক্ষী কাজী জালাল উদ্দিন, কাজী আলমগীর, কাজী আব্দুল মজিদ, কাজী আবু হানিফা, মোহাম্মদ আলী মীর, ইসমাইল খাঁ, মো. নাছির উদ্দিন, আব্দুল মালেক মালু'র বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন বড়াইলের কাজী বাড়ীর সন্তান জাতীয় পর্যায়ের সিনিয়র সাংবাদিক কাজী ইমরুল কবীর সুমন।
মামলায় মো. জাকির হোসেন জাকিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তাকে গ্রেফতার করবেন না বলে জানিয়েছেন ইমরুল সুমন।
তিনি বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই জেলার অন্যতম শীর্ষ ও বড় আদালত। সেখানেই জাকির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, "ওয়ারেন্ট বের হলেও এবং বসবাসের ঠিকানা জানার পরও জাকির চেয়ারম্যানের স্ত্রী অসুস্থ্য বলে আমরা ওকে আপাতত এই মামলায় গ্রেফতার করছি না। ক্ষমতা থাকলে সেটা দেখাতে হয় না সবসময়। আমরা জানি, ক্ষমাই মহত্বের লক্ষণ। এবারের মতো ওকে জেলের বাইরে রাখছি। গ্রেফতার করে জেল হাজতে ভরার চেষ্টা না করলেও আদালতে ওর বিচার চলবে।"
শান্তিপ্রিয় বড়াইলের ৯৪ বছর বয়স্ক একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কাজী আবু তাহের গং বড়াইলের কুলাঙ্গার জাকির চেয়ারম্যান এর সহযোগিতায় গ্রেফতারি পরোয়ানা বের করে ৪ বাড়ি গোষ্ঠীর সবচেয়ে বয়স্ক মুরুব্বিকে জেলে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করেন। তাদের ধৃষ্টতা দেখে হতবাক হয়েছি।
একই ধারাবাহিকতায় লাঠির জোড়ে দাঙ্গাবাজ, ভূমিদস্যু, হাতুড়ে ডাক্তার কাজী আবু তাহের, তাহেরের মেয়ের জামাই আবু নাসের খাঁ ওরফে মোহাম্মদ আশরাফুল, তাহেরের ভাই কাজী জালাল উদ্দিন, জালালের ছেলে কাজী সাব্বির ১০ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ জাকির চেয়ারম্যানের ইন্ধনে ঈদের ছুটিতে বড়াইল বাজারে মিষ্টি ব্যবসায়ী কাজী ফরিদ ও অনলাইন একটিভিস্ট মোহাম্মদ সুমন সরকারের ওপর হামলা করে ওদের গুরুতর জখম করেছেন। বড়াইলে যারা দাঙ্গা হাঙ্গামা করছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যদের হয়রানী করছেন, জোর জবরদস্তি অন্যের জমি দখল করে আছেন তাদের বিচার একদিন সচেতন এলাকাবাসী নিশ্চয়ই করবেন।'
