বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত দুইজন সদস্য কর্তৃক ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্লাবের বর্তমান বৈধ কমিটির নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস পূর্বাঞ্চলের দশটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বিজয়নগর উপজেলা গঠনের পর ২০১০ সালে প্রয়াত মো. কুতুব উদ্দিন চৌধুরী সেলিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং প্রয়াত স.ম. হামিদুল আলম চৌধুরী ও আমির মাহমুদের নেতৃত্বে বিজয়নগর প্রেসক্লাবের যাত্রা শুরু হয়।
বর্তমানে প্রেসক্লাবটি পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত (যুগান্তর) এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী (সময়র আলো)–এর নেতৃত্বে। ক্লাবের ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ২৫ জুলাই বিজয়নগরের আউলিয়া বাজারে প্রেসক্লাবের একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৩ সদস্যের মধ্যে ১৮ জন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে ১৩ জনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে ঐক্যের ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু সভার পরদিন ২৬ জুলাই, ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হীরা আহমেদ জাকির এবং দপ্তর সম্পাদক শাহনেওয়াজ শাহ ক্লাবের কোনো সদস্য বা নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ না করেই নিজেদেরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে একটি একতরফা কমিটি প্রকাশ করেন।
এই ঘটনাকে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অগণতান্ত্রিক আচরণ হিসেবে বিবেচনা করে প্রেসক্লাবের সদস্যরা এক জরুরি অনলাইন বৈঠকে সর্বসম্মতিতে উক্ত দুইজনকে বহিষ্কার করেন। তাদের বিরুদ্ধে ক্লাবের নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগও আনা হয়েছে।
এছাড়া তারা ক্লাবের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন প্যানেল নিজেরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মূল কমিটির সদস্যদের রিমুভ করে যাচ্ছেতাই তথ্য প্রচার করছেন বলে অভিযোগ উঠে।
এই পরিস্থিতিতে ২৭ জুলাই ক্লাবের আরও একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫ জন সরাসরি ও আরও কয়েকজন অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিষয়টির প্রতিবাদ জানান এবং উপজেলা প্রশাসন ও থানা কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াও চলছে।
বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “উপজেলাবাসী নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন কারা সঠিক ও বৈধ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিভ্রান্তি ছড়ানো বহিষ্কৃত দুইজনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আমরা চাই পেশাদার সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিজয়নগর এগিয়ে যাক।”