রাজনীতি প্রতিবেদক :
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘এখনও কেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে না? কারা জাতীয় পার্টি ও জি এম কাদেরকে প্রটেকশন দিচ্ছে। জি এম কাদের কি হাসিনার চেয়েও শক্তিশালী? হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেছে, আর ভারতের এজেন্ট জি এম কাদের বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জনগণ স্লোগান শুরু করেছে, আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে। মানে জাপাকে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টন আলরাজি কমপ্লেক্স সামনে মশাল মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন রাশেদ খাঁন। সমাবেশ শেষে মিছিলটি পল্টন, পানির টাঙ্কি ঘুরে আলরাজি কমপ্লেক্সর সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বরিশালে আদালত কর্তৃক গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা গ্রহণের নির্দেশের প্রতিবাদে আজ মশাল মিছিল করে গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা।
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘গতকাল বরিশালে আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেই মামলা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে মামলা গ্রহণের নির্দেশদাতা ম্যাজিস্ট্রেটকেও প্রত্যাহার করতে হবে। জাপা ও আপার দোসর না হলে ২৪-এর বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে এই মামলা নেওয়ার কথা তিনি বলতে পারতেন না। আমি ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টাকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অবহিত করেছি। হাসিনার আমলে আমরা মামলা খেয়েছি। এখনও যদি মামলা খেতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?’
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, ‘আজকে নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ইট খুলে আনতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তাদের এই নির্দেশনা দিতে পারি না। কিন্তু পদক্ষেপ না নিলে কতসময় তাদেরকে থামিয়ে রাখব। সরকারকে বলব, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিন, তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন। অন্যথায়, জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে নুরুল হুদার মতো মব নেমে এলে, তখন তার দায় জনগণকে দিতে পারবেন না। সুতরাং, জনগণ আইন হাতে তুলে নেওয়ার আগেই, আওয়ামী লীগ, জাপা ও ১৪ দলের কালপ্রিটদের ধরুন।’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের লুটপাট ,গুম-খুনসহ সব অপকর্মের সঙ্গে জাতীয় পার্টি জড়িত। তাই আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টির নেতাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করতে হবে।’
শাকিল উজ্জামান আরও বলেন, ‘যারা জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আ.লীগ পুর্নবাসনের স্বপ্ন দেখছে, তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত করা হবে। এতে যারাই জড়িত থাকবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বরিশালের মেট্রোপলিটন কোর্ট কীভাবে গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারি যোদ্ধা গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দেয়। এ ঘটনা প্রমাণ করে প্রশাসন, বিচারালয়, সচিবালয় এখনও ফ্যাসিবাদের দোসরদের দখলে। যারা সুযোগ পেলেই বিপ্লবীদের ধ্বংস করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নসাৎ করবে।’
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, রবিউল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াসসহ আরও অনেকে।