নবীনগরে জনগণের অধিকারের জন্য এক মহাকাব্যিক সংকল্পের উদ্ভাস
২০২৫ সালের ১১ জুলাই, শুক্রবার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুলাবাদ ইউনিয়নের পবিত্র মাটিতে, যেখানে গ্রাম্য জনপদের হৃদয়ে স্বপ্ন আর সংগ্রামের মিলন ঘটে, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) তার নবগঠিত কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের ঐশ্বরিক সুরে শুরু হওয়া এই মহতী অনুষ্ঠান, যেন ন্যায়, সমতা, ও জনগণের অধিকারের জন্য এক অমর সংকল্পের দীপশিখা প্রজ্বলিত করেছে, যা বাংলার প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে আশার আলো ছড়িয়েছে। এই ঐতিহাসিক সমাবেশে নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. সাদেক আহমেদ আকাশের বজ্রকণ্ঠে ঘোষিত বক্তৃতা ছিল যেন এক মহাকাব্যের প্রথম অধ্যায়, যেখানে তিনি বলেন, “আমরা গণঅধিকার পরিষদের মাধ্যমে নবীনগরের প্রতিটি ইউনিয়নে ন্যায়ের পতাকা উড্ডীন করব, অসহায়ের পাশে থেকে তাদের অধিকারের জন্য লড়ব।” তাঁর কণ্ঠে ছিল জনগণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অটুট প্রতিজ্ঞা।
সদস্য সচিব মো. কাইউম ইসলাম, যাঁর বক্তৃতা ছিল সাহিত্যের মতো মোহনীয়, বলেন, “আমাদের সংগঠন গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতীক; আমরা প্রতিটি মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠব।” তাঁর শব্দগুলো যেন নবীনগরের মাটিতে এক নতুন বিপ্লবের বীজ বপন করেছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. কামরুল হাসান ইকরামের বক্তৃতা তরুণ প্রজন্মের উদ্দীপনার প্রতিফলন, যেখানে তিনি বলেন, “আমরা তরুণরা শিক্ষা ও ন্যায়ের মাধ্যমে দেশ গড়ব, অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।” তাঁর কথায় ছিল যেন আগামী দিনের বাংলাদেশের স্বপ্ন। পৌরসভার আহ্বায়ক মো. নিরব এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সার্জেন্ট (অব.) আলাল আহমেদ বাদলের বক্তৃতাগুলো ছিল জনগণের মাঝে একতার বন্ধন গড়ার আহ্বান, যেখানে তারা প্রতিশ্রুতি দেন, “আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে গণঅধিকারের পতাকা তুলে ধরব, যেন কোনো মানুষ বঞ্চিত না থাকে।”
জনাব মো. মোতালেব স্যারের বক্তৃতা ছিল দার্শনিক গভীরতার এক অতুলনীয় নিদর্শন, যেখানে তিনি বলেন, “গণঅধিকার পরিষদ শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি জনগণের হৃদয়ের ধ্বনি, যা সমাজের প্রতিটি স্তরে ন্যায়ের প্রতিধ্বনি তুলবে।” তাঁর কথাগুলো যেন ইতিহাসের পাতায় এক নতুন অধ্যায় লিখে দিয়েছে। এছাড়া, প্রবাসী অধিকার পরিষদ মালদ্বীপ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী তৌহিদুল ইসলাম জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “প্রবাসী ভাইয়েরা দেশের জন্য ত্যাগের প্রতীক; আমরা তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণঅধিকারের পথে এগিয়ে যাব।” তাঁর সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রাণবন্ত বক্তৃতা সবার হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে।
এই ঐতিহাসিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফরিদ আহমেদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাসেল, এবং নবগঠিত কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্রমিক অধিকার পরিষদের তিন মাসের জন্য আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা স্থানীয় শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় এক নতুন মাইলফলক। বক্তারা একযোগে ঘোষণা করেন, “ইনশাআল্লাহ, নবীনগর হবে গণঅধিকার পরিষদের অদম্য ঘাঁটি; আমরা প্রতিটি মুহূর্তে অসহায় মানুষের পাশে থাকব, তাদের অধিকারের জন্য কাজ করব।” এই বক্তব্যগুলো যেন রসুলাবাদের মাটিতে এক নতুন বিপ্লবের সুর বেঁধেছে, যা জনগণের হৃদয়ে চিরন্তন প্রতিধ্বনি তুলবে।