দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। লাওসে শুরু হবে ৬ আগস্ট এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Sunday, 3 August 2025

লাওসে শুরু হবে ৬ আগস্ট এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই


খেলার রিপোর্ট :
এই টুর্নামেন্ট ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের ‘সিঁড়ি’

নারী ফুটবল দলের দায়িত্বের শুরুতে খুব একটা সফল ছিলেন না কোচ পিটার বাটলার। অভিষেক ম্যাচে চাইনিজ তাইপের কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুনকে একাদশে না রেখে আলোচনার জন্ম দেন এই বৃটিশ কোচ। যদিও পরের ম্যাচে সাবিনাকে খেলিয়ে হারের ব্যবধান কমান পিটার বাটলার। 



এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার অধীনে বাংলাদেশ সিনিয়র দল দুটি ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছে একটি আন্তর্জাতিক আসর। প্রতিটিতেই তিনি এনে দিয়েছেন সফলতা। সিনিয়র সাফ শিরোপা জেতানোর পর বাটলারের অধীনে বাংলাদেশ গত মাসে মিয়ানমারে গড়েছে ইতিহাস। 



প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে নারী এশিয়ান কাপে। এর কয়েক দিন পর ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এবার তিনি দল নিয়ে গেলেন লাওসে। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের এইচ গ্রুপের খেলা লাওসে শুরু হবে ৬ আগস্ট। আরেকটি পরীক্ষার আগে তাই প্রশ্ন উঠেছে, এবারও কি সফল হবেন বাটলার? 



ঠিক আট মাস পর অস্ট্রেলিয়ার তিন শহরে বসবে নারী এশিয়ান কাপের মর্যাদার আসর। এশিয়ার সেরা ১২ দলের একটি হয়ে খেলবেন বাটলারের শিষ্যরা। তার কাছে লাওসের এই বাছাই আগামী বছর মার্চের এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির একটি অংশ। ঘরের মাঠে খেলা সাফ অনূর্ধ্ব-২০ স্কোয়াড নিয়েই তিনি গেলেন লাওসে। এই দলে সর্বশেষ জাতীয় দলের ৯ জন আছেন। আবার এই যুব দল থেকেও তিনি ভবিষ্যতের সিনিয়র দলের জন্য খেলোয়াড় বেছে নেবেন। সব মিলিয়ে ২০২৬ সালে থাইল্যান্ডে এই আসরের মূলপর্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের আরও বড় মঞ্চে অভ্যস্ত করার দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এই বৃটিশ কোচ। ছয় বছর আগে বাংলাদেশ নারী দল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়ান কাপের বাছাই খেলেছিল।



এরপর এই টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব ছিল না বাংলাদেশের। অতীতের প্রেক্ষাপট টেনে প্রশ্ন জেতেই বাটলার বলেন, ‘এটা ২০২৫ সাল, ২০১৯ নয়। আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই, অতীতে পড়ে থাকতে চাই না। এই বাছাইটা আমাদের এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মেয়েরা আরও বড় মঞ্চে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। যে অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে সিনিয়র দলের জন্য কাজে দেবে। তবে আমি কিছুটা ভাবনায় আছি একের পর এক আসরে খেলতে হওয়ায়। এটা একদিক দিয়ে যেমন ইতিবাচক, আবার অন্যদিক অনেক বেশি ধকলের।’ একের পর এক অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে বাটলারকে। সাফের পর একটা বড় বিরতি দিয়ে তিনি শুরু করেন যাত্রা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে তার দল। এরপর জর্ডানে আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে যেতে হয় মিয়ানমারে। সেখানে অসাধ্য সাধন করে এসেই নেমে পড়তে হয় সাফের টুর্নামেন্ট নিয়ে। এরপর এএফসির এই বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। একই সঙ্গে সিনিয়র দল ও বয়সভিত্তিক দলের দেখভালের দায়িত্ব বাটলারের কাঁধে। 



এরপর ফিরে এসে তাকে এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির পাশাপাশি কাজ করতে হবে অনূর্ধ্ব-১৭ দল নিয়ে। এত কিছুর পরও ক্লান্ত নন কোচ। বরং বয়সভিত্তিক আসরগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বড় মঞ্চ হিসেবে দেখেন তিনি। এইচ গ্রুপে বাংলাদেশকে খেলতে হবে দক্ষিণ কোরিয়া, স্বাগতিক লাওস ও তিমুর লেস্তের সঙ্গে। কোরিয়াকে ফেভারিট ধরে এই বাছাইয়ে বাংলাদেশের উতরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। বাটলার বলেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাচ লাওসের বিপক্ষে, এরপর তিমুর লেস্তে, তারপর দক্ষিণ কোরিয়া। আমার মতে দক্ষিণ কোরিয়া এই অঞ্চলের অন্যতম সেরা দল। আমরা লাওসের বিপক্ষে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামব। আমি বরাবরই বলেছি, আমি অনূর্ধ্ব-২০ দলকে ভিত্তি হিসেবে ধরে এগোতে চাই। তরুণদের সুযোগ দেওয়া ও তাদের সিনিয়র দলে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। তারা এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।’ বাছাই পর্বে মোট আটটি গ্রুপে খেলা হবে। যেখানে প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিন রানার্সআপ পাবে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূলপর্বে খেলার সুযোগ।