ফুটবলার তুলে আনার সূতিকাগার পাইওনিয়ার লিগ। যেখান থেকে উঠে এসেছিলেন মোনেম মুন্না, আরমান মিয়া, জুয়েল রানার মতো তারকারা। কিন্তু গত দুই বছর হয়নি এই লিগ। এবার বছরের অর্ধেকটা সময় পেরোনোর পরও সূচি চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বাফুফে নির্বাচনের ১৪ দিন পর গত ৯ নভেম্বর সদস্যের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। এক বছরের জন্য পাইওনিয়ার লিগের চেয়ারম্যান হন টিপু সুলতান। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার প্রায় ৯ মাস পেরিয়েও পাইওনিয়ার লিগ শুরু করা নিয়ে আজ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি তিনি। বলেন, ‘আমরা অক্টোবরের শেষ দিকে একটা সময় দিয়েছি, যদিও সেটা চূড়ান্ত নয়। এখনো তো দুই মাসের বেশি সময় আছে, সূচি ঠিক হয়ে যাবে।’
যদিও তিন মাস পরই টিপু সুলতানের পাইওনিয়ার লিগের চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এরপর কী হবে, সেটা জানেন না তিনিও।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, দেশের এই পুরোনো লিগ শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তার মূলে পাইওনিয়ার কমিটির অনুমোদন না পাওয়া। টিপু বললেন, বাফুফে সভাপতি ব্যস্ত, তিনি দ্রুতই কমিটির অনুমোদন দিয়ে দেবেন, ‘আমাদের কমিটি এখনো হয়নি। প্রেসিডেন্ট সাহেব (তাবিথ আউয়াল) বলেছেন হয়ে যাবে, দিয়ে দেবেন। ওনার ব্যস্ততা আছে; বিভিন্ন ইভেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। এটাও করে দেব, এটাও জরুরি জিনিস, প্রেসিডেন্ট বলেছেন করে দেবেন।’
১৯৮০ সালে শুরু হওয়া কিশোর ফুটবলারদের এ আসরটি একটা সময় ছিল দারুণ জমজমাট। প্রথমবার ১৬০ দলের বাছাই থেকে পাইওনিয়ার লিগ খেলার ছাড়পত্র পায় ৮০ ক্লাব। এবার এরই মধ্যে ৮০ ক্লাব নিবন্ধন করেছে। সর্বশেষ আসরটি হয়েছিল ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ বয়স বিভাগে। এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের বয়সসীমা এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
কিন্তু পাইওনিয়ার লিগ কমিটি না থাকায় কোনো কিছুই ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে না! টিপুর কথায় সেটিও বোঝা গেল, ‘হ্যাঁ, কমিটি হয়ে গেলে আমরা কাজটা পুরোদমে শুরু করতে পারব। তখন আশা করি লিগ শুরুর একটা সুনির্দিষ্ট তারিখও দিতে পারব।’
২০২২ সালের পর একাধিকবার লিগ শুরুর আশা দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত শুরু করতে না পারায় হতাশ ক্লাব কর্তারা। তাবিথ আউয়ালের কমিটি এখন পর্যন্ত দুবার চিঠি দিয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছে ক্লাবগুলোকে। কিন্তু লিগ শুরুর নির্দিষ্ট কোনো তারিখ না পেয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ।
এফসি ইউনাইটেড ফেনীর সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ হারুন বলেন, ‘প্রতিটি দল তিন থেকে চারবার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে ট্রায়াল নিয়েছে, এই ট্রায়ালের জন্য অনেক টাকা খরচও হয়েছে, কিন্তু আমরা ছেলেগুলোকে কথা দিয়ে কথা রাখতে পারি না। এখন তো তারা আমাদের বাটপার ভাবে।’