ক্রাইম প্রতিনিধি :
শিক্ষিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল স্কুলছাত্র। কিন্তু শিক্ষিকা তাতে রাজি হননি, উল্টো স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দায়ের করেন অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে শিক্ষিকার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্র। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার ১৮ বছর বয়সী ওই ছাত্র তার প্রাক্তন স্কুলের ২৬ বছর বয়সী শিক্ষিকার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তের নাম সূর্যাংশ কোচর। সে নরসিংহপুর জেলার কোতোয়ালি থানার উৎকৃষ্ট বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বিরোধ এবং শিক্ষিকার দায়ের করা অভিযোগের প্রতিশোধে এই হামলা চালানো হয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সূর্যাংশ শিক্ষিকার বাড়িতে পৌঁছে একটি পেট্রল ভর্তি বোতল নিয়ে। কোনো পূর্বসংকেত ছাড়াই সে শিক্ষিকার ওপর পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকার শরীরের প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধ হলেও তার জীবনহানি ঘটেনি।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত এবং শিক্ষিকা একে অপরকে দুই বছর ধরে চেনেন। সেই সময়ে সূর্যাংশুর শিক্ষিকার প্রতি একতরফা আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল। কয়েক বছর আগে অসংগতিপূর্ণ আচরণের কারণে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়। চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষিকার পরনে থাকা শাড়ি নিয়ে অশালীন মন্তব্য করলে শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মনে করছে, সেটিই তার ক্ষিপ্ত প্রতিশোধের মূল কারণ।
নরসিংহপুরের উপবিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তা (এসডিওপি) মনোজ গুপ্ত বলেছেন, এটি একতরফা প্রেম এবং ব্যক্তিগত প্রতিশোধের ঘটনা। শিক্ষিকার অভিযোগ দায়ের করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে সূর্যাংশু পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ ১২৪ ধারা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইনের আওতায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কল্যাণপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে পুলিশ আটক করে। বর্তমানে সে হেফাজতে রয়েছে এবং বিস্তারিত তদন্ত চলছে।