Friday, 15 August 2025

এয়ার টিকিটের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট, আবারো অতি উচ্চমূল্য


ঢাকা প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো রুটের বিশেষ করে সৌদি আরবের টিকিট যেন সোনার হরিণ। রিয়াদ দাম্মাম জেদ্দা মদিনা কোনো রুটেই টিকিট ৮০ হাজারের নিচে মিলছে না। 


অথচ গত দুই সপ্তাহ আগেও এ সকল টিকিট ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যেতো। গত এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এই সকল টিকিটের দাম নেমে এসেছিল ৩০ হাজারের কোটায়। গত ১৪েই আগস্ট এ দেখা যায় ঢাকা থেকে কুয়েতগামী যাত্রীরা টিকিট কিনেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার টাকায়, একইভাবে রিয়াদের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তার দামও প্রায় ৯০ হাজার টাকা।  বিশেষ কিছু এজেন্সির কাছে গ্রুপ আকারে যাত্রীর নাম ছাড়া এই সকল টিকিট ব্লক করা আছে। 


অথচ সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট কপি ছাড়া বুকিং করা যাবে না মর্মে  নির্দেশনা প্রদান করেছিল। এ সকল এজেন্সি টিকিটগুলো ৯০ হাজারের থেকে কিছু কমে বিক্রি করছে যার ফলে তাদের ব্যবসা খুব জমজমাট। 


খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন পূর্বে যারা নাম ছাড়া টিকিট মজুত করতো তারা আবার সক্রিয় এবং  এয়ারলাইন্সের টিকিট অগ্রিম নাম ছাড়া ব্লক করে তারা মজুত করেছে যে কারণে বর্তমানে টিকিটের এই আকাশচুম্বী মূল্য।  নাম ছাড়া এ সকল বুকিং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। এয়ারলাইন্সের জিএসএগুলো তাদের লাভের একটি অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচনা করে অগ্রিম টিকিট ব্লক করে এবং নিম্নমূল্যের  টিকিটগুলো ব্লক করে তাদের পছন্দের কয়েকটি সিন্ডিকেট এজেন্সির মাধ্যমে বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার বাড়তি দামে বিক্রি করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আজ পর্যন্ত কোনো সংবাদমাধ্যম জানতে পারেনি। 



বিমান মন্ত্রণালয় কর্তৃক আকাশ পথে যাত্রী সাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের কোনো অ্যাকশন  দেখা যাচ্ছে না। কয়েকটি এজেন্সি ও জিএসএকে শোকজ দিয়ে তারা দায়সারাগোছের কাজ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ের কোনো অফিসার কথা বলতে রাজি হননি। উল্লেখ্য যে,  আকাশ পথে যাত্রীর স্বার্থে  গত ১১ই ফেব্রুয়ারি সরকার ১০ দফা নির্দেশনা প্রদান করে কিন্তু এয়ারলাইন্স ট্রাভেল এজেন্সি বা জিএসএ কেউই এই দশ দফা মানছে না,  এ বিষয়ে কোনো সরকারি মনিটরিং নেই বলেও জানিয়েছে খাত সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠান।