দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। হাসিনাকে কেন পুশইন করছেন না, ভারতের কাছে রিজভীর প্রশ্ন - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Monday, 28 July 2025

হাসিনাকে কেন পুশইন করছেন না, ভারতের কাছে রিজভীর প্রশ্ন


রাজনীতি প্রতিনিধি :

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, শেখ হাসিনা তো বাংলাদেশের মানুষ, মুসলমান। তাকে কেনো পুশইন করছেন না? যে সব দুর্বৃত্ত পালিয়ে গেছে ভারতে, তাদের তো পুশইন করছেন না।



সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মরহুম শফিউল বারী বাবুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে একথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরায় প্রচুর বাঙালি বাস করে এবং মুসলিম ধর্মের অনুসারী প্রচুর বাঙালি আছে। আমাদের জাতীয়তা-পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। আমাদের ভাষা বাংলা, কালচার বাংলা। বাঙালি কালচার কিন্তু পশ্চিম বাংলা অর্থাৎ ইন্ডিয়াতে বসবাস করা বাঙালি মুসলমান তো অনেক আছে। তাদের জোর করে পুশইন করা হচ্ছে। শেখ হাসিনাও তো বাঙালি মুসলমান- বাংলাদেশের মানুষ, তাকে পুশইন করছেন না কেন। যে সব দুর্বৃত্তরা ভারতে পালিয়ে গেছে, তাদের তো পুশইন করছেন না কেন।



তিনি বলেন, ভারতের নাগরিক হাজার হাজার বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে, কিন্তু ধর্ম তারা মুসলমান হওয়ার কারণে এবং বাংলা ভাষায় কথা বলে এজন্য তাদের ধাক্কা দিয়ে জোর করে পুশইন করা হচ্ছে। সরকারের উচিত পুশব্যাক করা। এই পুশব্যাক কেনো সরকার করতে পারছে না, আগে তো আমরা দেখেছি, চেষ্টা হয়েছে, তখন তো পুশব্যাক করা হয়েছে।



তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে তাদের পছন্দের সরকার চায় ভারত। সেই সরকারকে জনগণ পছন্দ করুক আর না করুক। তাতে কোনো দায় নেই। তাদের মনোনীত ব্যক্তি থাকতে হবে। তার মানে এটা কারা করে? যারা প্রভুত্বকারী দেশ, যারা সাম্রাজ্যবাদী দেশ তারা। যখন অন্য দেশকে দখল করতে চায় বা প্রভাব বিস্তার করতে চায়, শেখ হাসিনা ছিল সেই প্রতিভু। এই কারণেই তাদের (ভারতের) মন খারাপ।




তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল বা বিএনপির নামে যদি কেউ অন্যায় করে অপকর্ম করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নিতে বলেছি পুলিশকে।



স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।