আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচনে লড়বেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর দল বিএনপির তরফে বুধবার এ কথা জানানো হয়েছে- এমন তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে কলকাতার শীর্ষ দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।
পত্রিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বুধবার দলের এক সভায় বলেন, ‘‘দেশে এখন যা অবস্থা, ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। নির্বাচন হলে তিনি অংশগ্রহণ করবেন।’’
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচিত সরকার বেছে নেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে গত কয়েক মাস ধরে। বিএনপি ধারাবাহিক ভাবে এই দাবি তুলে আসছে। দলের চেয়ারপার্সন খালেদা শারীরিক সমস্যার কারণে গত জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিটেনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাপর্বের শেষে মে মাসে বাংলাদেশে ফিরলেও এখনও রাজনীতিতে তাঁর তেমন সক্রিয়তা দেখা যায়নি। খালেদার অনুপস্থিতিতে তাঁর পুত্র তথা দলের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব নিতে পারেন। কিন্তু শুক্রবার খালেদার ঘনিষ্ঠ অনুগামী মিন্টুর মন্তব্য ‘অন্য ইঙ্গিতবাহী’ বলে মনে করছেন অনেকেই- এমনটাই লিখেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদের আরো বলা হয়, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের জমানায় জামায়াতে ইসলামির প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। বিশেষত, অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে জামাত-ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ এবং নির্বাচন ঘিরে টালবাহানার জেরে সেই অসন্তোষ আরও বেড়েছে। ইতিহাস বলছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার ঘাতকবাহিনীর নেতা হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, হাসিনার পিতা শেখ মুজিবের দল আওয়ামী লীগের মতোই মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী বিএনপিও। খালেদার স্বামী তথা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাক সেনার প্রথম বাঙালি অফিসার হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
সূত্র : আনন্দবাজার (কলকাতা)