জহির ভূইয়া :
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'স ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এটি সেই দিন যখন একজন মানুষ আরেকজনের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করতে ভালোবাসার বার্তাসহ কার্ড, ফুল বা চকলেট পাঠিয়ে থাকে।
কিন্তু বাংলাদেশে কি ভালবাসা দিবসের সম্মানটা সঠিক ভাবে ফলো করা হয়? এ যাবত কালে এমন নজির পাওয়া যায়নি।
ভালবাসা দিসব এলেই বাংলাদেশের একশ্রেনীর ছেলে-মেয়েদের মাঝে ভালবাসার নামে অনৈতিকা দেখা যায়।
প্রতি বছর ভালবাসা দিবসে নতুন করে ভালবাসা বন্দর পবির্তন করে, এটা কোন ভালবাসা? এছাড়া ভালবাসার নামে বহু বিবাহিত নারী-পুরুষকে এই দিবসটিতে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানো গল্প বহু প্রকাশ পেয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভ্যালেন্টাইন ডে-র নামে যা হয় তা নিয়ে বহু তথ্য সহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাতে আমাদের মাঝে নৈতিকতার কোন পরিবর্তন আসেনি।
কাল আরো একটি ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপিত হবে, নতুন করে আবারো নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে, এক দিকে ভাঙ্গবে অন্যদিকে গড়বে। এটাই বাংলাদেশের ভ্যালেন্টাইন ডে আর বিবাহিত ভ্যালেন্টাইন ডে-র কথা তো . . .।
কিন্তু কে ছিলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন?
একজন বিখ্যাত সেইন্ট বা ধর্ম যাজকের নাম থেকে দিনটি এমন নাম পেয়েছে। তবে তিনি কে ছিলেন - তা নিয়ে বিভিন্ন গল্প রয়েছে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে জনপ্রিয় বিশ্বাস হল তিনি খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রোমের একজন পুরোহিত ছিলেন।
সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ তার মনে হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষরা খারাপ সৈন্য হয়ে থাকে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন মনে করেছেন, এটি অন্যায়। তাই তিনি নিয়মগুলো ভেঙ্গে গোপনে বিয়ের ব্যবস্থা করেন।
ক্লডিয়াস যখন এই খবর জানতে পারেন, তখন তার আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ভ্যালেন্টাইন কারা প্রধানের মেয়ের প্রেমে পড়েন। ১৪ই ফেব্রুয়ারি যখন তাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ভ্যালেন্টাইন ওই মেয়েটির উদ্দেশ্যে একটি প্রেমপত্র পাঠিয়ে যান।
যেখানে লেখা ছিল, "তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে"।
