খেলার প্রতিবেদক :
৮টি বিপিএল আসরে অংশ নিয়েও ফাইনালে খেলা হয়নি। ৯ম আসরে ২০২৩ সালে সিলেট সে স্বাদ পূরণ হলো মাশরাফির হাত ধরে।
দুই দিন আগে মিরপুরের উইকেট কোয়ার্টার ফাইনাল ১ এর ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরে যায় সিলেট। তাতে শেষ সুযোগটা ছিল আজ। কারণ এ্যালিমেন্টের ম্যাচে রংপুর সাকিবের বরিশালকে কাঁদিয়ে ফাইনালে যেতে কোয়ার্টার ফাইনাল ২-এ উঠে আসে। যেখানে আগে সিলেট রংপুরের অপেক্ষায় ছিল।
১৯ রানে রংপুরকে হারের স্বাদ দিয়ে সিলেট ফাইনালে পা রেখেছে। লীগ পর্বে পর পর দুই বার রংপুরের কাছে হেরে যাওয়া সিলেট জায়গা তো শোধ নিয়েছে। ১৬ তারিখ ফাইনালে আবারো সেই কুমিল্লার মুখোমুখি হবে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে সিলেট। সিলেটের টপ অর্ডারের তৌহিদ ২৫ রানের বেশি পারলেন না। আর এরপর তো মারকুটে শান্ত ৩০ বলে ৪০ রান ভয় পাইয়ে দেয় রংপুরকে। নাইট ওয়াচম্যানের ভূমিকায় খোদ অধিনায়ক মাশরাফি। ক্যিাচ আউট হওয়ার আগে যে কারণে ক্রিজে আসা সেটা করে দিলেন ১৬ বলে ২৮ রান। মিডল অর্ডারে জাকিরের ১৬ আর রাইয়ানের ১৫ রানের পর শেষ দিকে থিসেরা পেরেরা আর লিনডি দুই জনেই ২১ করে রান জমা করলেন।
সিলে্েরট স্কোর ২০ ওভার শেষে ১৮২/৭। জাবব দিতে নেমে শুরুকেই ধাক্কা খেয়ে বসে রংপুর। ওপেনার স্যামকে দলীয় ৩ রানেই আউট করে দেয় সিলেট। এরপর শামিম আর পুরাণ লম্বা স্কোর করতে পারেনি। তবে পুরাণ ১৪ বলে ৩০ রান রংপুরকে এগিয়ে দিয়েছে।
ক্রিজে তখনও অপরাজিত ওপেনার রনি তালুকদার সাথে আছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৬৮ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর ৪র্থ জুটিতে এই দুই ব্যাটার জয়ের বন্দরে পা রাখতে চেষ্টা করে যান। স্কোর নিয়ে যান ১৪১/৩, ১৬ ওভার শেষ। ২৪ বলে রংপুরকে ৪২ রান করতে হবে তা হলেই ফাইনালের টিকিট হাতে পাবে।
বলের চেয়ে রান দ্বিগুণ, তাই তুলে মারা ছাড়া কোন বিকল্প জানা ছিল না অধিনায়ক সোহানের। তুলে মারলেন আর ২৪ বলে ৩৩ রানে ক্যাচ আউট হলেন। এরপর তো ভরসা ছিল ৬৬ রানে থাকা রনির ব্যাটে কিন্তু জাকিরের সরাসরি থ্রোতে ৬৬ রানে রনি রান আউট!
৫ উইকেটে ১৫২/৫, ১৮ ওভার শেষ, ১২ বলে ৩১ করা সহজ না। তবে কঠিনও তো না! কিন্তু খেই হারিয়ে ফেলা রংপুরের একের পর এক উইকেট পতন হতে থাকে। যে কারণে স্কোর ১৫৫/৭, ওভার ১৯, শেষ ৬ বলে ২৮ রান দরকার। ২০ ওভারে ১৬৩/৮।
