খেলার প্রতিবেদক :
২০১৯ সালে পুরো দেশজুড়ে ক্যাসিনো ব্যবসার ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। এরপর সরকারের বহু শীর্ষ নেতার নাম প্রকাশ্যে এলো ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার খবরও প্রকাশ পেল। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযানে তখনই বাংলাদেশ হকি ফেডারেশরনর সাধারণ সম্পাদক একে এম মমিনুল হক সাইদের নাম প্রকাশ পায় ক্যাসিনো কারবারিদের তালিকায়। তাকে আর খুঁজে পায়নি প্রশাসন।
দীর্ঘদিন হকি ফেডারেশেনের কার্যনির্বাহি কমিটিতে না থাকার কারণে তার বদলে ভার প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ ইউসুফ।
টানা ৩ বছরের বেশি সময় সাইদ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অবশেষে সেই ক্যাসিনো সাইদ এখন প্রকাশ্যে এসেছেন। টানা ৩ বছরের বেশি সময় দুবােই, মালেশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর সহ একাধিক দেশে অবস্থানের পর সাইদ ২০২৩ সালে দেশে ফিরেছেন।
গোপনে থাকা সাইদের দেখা মিলেছে তেজঁগায়ে ফ্যালকণ হলে। হকির কার্যনির্বাহি কমিটির নিয়মিত সভায় তিনি উপস্থিত হন। সবাই সামনের দরজা দিয়ে বের হলেও সাইদ পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে মিডিয়াকে এগি য়ে যেতে চাইলেন। কিন্তু পারলে না মিডিয়ার চোঁখ ফাঁকি দিতে।
কথা তাকে বলতেই হলো, তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে বলেন, ‘ক্রীড়া আমার কাছে আমার দুই সন্তানের মতো। আমাকে বাঁচতে দিন, আমাকে মুক্তি দিন। আমার মাকে অসুস্থ রেখে এসেছি। সাদে ৩টা বছর আমি কিভাবে পার করেছি তা আমি জানি।’
সাইদের ফিরে আসা প্রসঙ্গে ভার-প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ মিডিয়াকে বলেন, তিনি না থাকায় আমি সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাই। তিনি যদি নিয়মিত বসেন তাহলে তিনি সাধারণ সম্পাদক আর আমি আবার সহ সাধারণ সম্পাদক।’
