খেলার প্রতিবেদক :
ম্যাশ মাঠে নামলেই যেন গ্যালারি থেকে শুরু করে প্রেসবক্স, সব জায়গাতেই পরিবেশ পাল্টে যায়। যেমন অল্প বাজেটের দল সিলেটের ড্রেসিং রুমটা পাল্টে গেল সেই শুরু থেকেই। টানা জয়ের পর জয় আর এরপর একটি হার আবার জয়। শেষমেষে কোয়ার্টারে কুমিল্লার কাছে হার। আবার শেষ সুযোগে রংপুরকে হারিয়ে প্রথম বার ফাইনালে সিলেট মাশরাফির হাত ধরে।
কাল প্রথম বার ফাইনালে উঠেছে সিলেট এটা অনেক বড় বিষয়। কারণ কুমিল্লা, বরিশাল, রংপুর বা অন্য দল গুলোর মতো অভিজ্ঞতা আর অর্থ সিলেটের নেই। এটা স্বীকার করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি ফাইনালের আগে বলেছেন,দেখুন প্রত্যাশা তো প্রতিবারই সিলেট বাসী করেছে, হয়নি। আমরা শুরুতে ম্যাচে জেতা শুরু করেছি তখন আরো প্রত্যাশা বেড়েছে। আমরা যখন ৪টা ম্যাচ টানা জিতে গেলাম তখন আমরা একটা সেটআপে চলে এসেছি। আমরা জানতাম এই ক্রিকেটাররাই শেষ অবদি খেলবে। আমরা পরিকল্পনায় ছিল শেষ চারে থাকা এবং ১ বা ২ এ থাকতে পারলে ফাইনালে যাবার একটা বাড়তি সুযোগ পাব, সেটাই হয়েছে। সিলেটে আমরা যখন গেলাম তখন আমাদের যেভাবে রিসিভ করা হলো তা ছিল মনে রাখার মতো। এছাড়া মাঠে দর্শকদের সমর্থন ছিল বলার মতো। আমরা যখন চার-ছয় মেরেছি তখন তারা উল্লাস করেছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন চার-ছয় মেরেছে তখন চুপ ছিল। এমন অন্ধ সমর্থন আমি মাঠে আর দেখিনি। আর তো একটা ম্যাচ আছে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
কিন্তু শক্তিবিচারে ফাইনালে সিলেট কি কুমিল্লার সাথে তুলনীয়? কারণ সিলেটের বিদেশী শক্তি বা বাজেট ততোটা শক্তিশালী নয়! এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাশ বলেন, ‘দেখুন এ বিষয়টা অনেক লেখালেখি হয়েছে, এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আপনার যদি শুরু থেকে দেখেন, আমরা যখন শুরুতে টিম মালিকের সাথে কথা বলি তখন লিমিটেড বাজেট ছিল। আমি আগেও বলেছি প্রায় সব গুলো দলই লস করেই টিম গুলো করেছে। এই লিমিটেড বাজেটেই আমরা দল করেছি। এরপর আমরা যখন সেমিতে উঠি তখন আমাদের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার ছিল আমির আর ইমাদ। এরপর নতুন কাউকে আনা এতো সহজ বিষয় না। সবাই সেটা পারবেও না। তারপরও সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল ক্রিকেটারদের সাথে যোগাযোগ করা। আমাদের পক্ষথেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়নি তা কিন্তু না। যার সাথেই যোগাযোগ করা হয়েছে অপ্রত্যাশিত ভাবে সেই চুক্তিবদ্ধ ছিল। এই যে লুক খেলেছে তার সাথে আমরা ২০ দিন আগে থেকে যোগাযোগ করেছি। এই আসে তো এই আসে না। দেখুন কুমিল্লা বা রংপুর ওনাদের সাথে তো সবাই পারবে না।
একটা কথা তো সত্য, ওনারা স্পন্সর কাভার করতে পারেন। সেই সাথে লম্বা সময় ধরে ওনারা বিপিএলে আছেন। সে হিসেবে সিলেটের জন্য ভাল লাগছে, কারণ এই ধরনের লো বাজেটের দল যদি ফাইনালে খেলে তাহলে মটিভেটের হবে, তাহলে তারা ইন্সেপায়ার হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে চাইবে। ৪০ হাজার বা ৫০ হাজার ডলার দিয়ে ক্রিকেটার এনে প্রতিম্যাচ খেলানো অন্য দল গুলোর জন্য ডিফিকাল্ট। সত্য বলতে আমাদের দলের পক্ষে সম্ভব না। ৫০ হাজার ডলার মানে ৫৫ লাথ টাকা, এটা কোয়াইট ইম্পসিবল। এটা সবার দ্বারা সম্ভব না।’