কক্সবাজার প্রতিবেদক :
ভূমিকস্পে ঝুঁকিপূর্ন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নাম শীর্ষেই আছে। আর এখন তো চলছে ভূমিকস্পের মৌসুম। তুরস্কে ভূমিকস্পে ৫০ হাজার মানুষ মারা গেছে। সিরিয়ার সংখ্যাটাই কম নয়। এরই মধ্যে একাধিক বার ভূমিকস্প তুরস্ক-সিরিয়ার মাটি কাঁপিয়ে দিয়েছে। গতকাল জানা গেছে জাপানে ভূমিকস্প নাড়া দিয়েছে।
অন্যদিকে কয়েক দিন আগেই সিলেট-বার্মায় ভূমিকস্প নাড়া দেবার পর গতকাল কক্সবাজারে ভূমিকস্প আঘাত হানে। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে কোন সময় বড় ধরনের ভূমিকস্প বাংলাদেশে আঘাত হানবে। সেটা আজ হউক বা কাল হউক, হবে।
কক্সবাজারে ভূমিকম্পে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের একটি ভবনের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটের দিকে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
চার দশমিক ১০ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হলেও জেলায় বড় ধরনের আরও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ভূমিকম্পে মৎস্য কার্যালয়ের যে ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে সেটি অনেক পুরোনো ভবন ছিল।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, ভবনটি অনেকটা পরিত্যক্ত। ওই ভবনে কেউ বসে না। ভূমিকম্পের আগে জরাজীর্ণ ছিল। তবে ভূমিকম্পে ফাটল দেখা দিলেও ভেঙে পড়েনি।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘আজ বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৯০ অক্ষাংশ এবং ৯২ দশমিক ৩৩ দ্রাঘিমাংশে ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়েছে। যেটি ঢাকা থেকে ৩৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এর ফলে চার দশমিক ১০ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে কক্সবাজারে।’
