দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ফায়ার সেফটির নাম-গন্ধও নেই নামিদামি রেস্টুরেন্ট গুলোতে - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Saturday, 2 March 2024

ফায়ার সেফটির নাম-গন্ধও নেই নামিদামি রেস্টুরেন্ট গুলোতে


ঢাকা প্রতিনিধি :
শুধু বেইলি রোড নয়, রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকার নামিদামি রেস্টুরেন্টে নেই যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। নিয়ম না মেনে যে যার সুবিধামতো ফ্লোরে ফ্লোরে রান্নাঘরের সঙ্গে রেখে দিয়েছে অতি দাহ্য গ্যাস সিলিন্ডার। অথচ সিলিন্ডার বসানোর কথা ভবনের নিচে বা গ্রাউন্ড ফ্লোরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতের ভয়াবহ আগুনে ৪৬টি তাজা প্রাণ চোখের নিমিষে ঝরে গেলেও কারও যেন শিক্ষা হয়নি। 


মর্মদন্তু এ ঘটনায় শুক্রবার পুরো দেশ যখন শোকে স্তব্ধ, তখনও উলটো চিত্র গুলশান, বনানী এবং ধানমন্ডির মতো অভিজাত এলাকায়। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের পর শুক্রবার দিনভর রাজধানীর নামিদামি রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা সম্পর্কে খোঁজ নিতে মাঠে নামে যুগান্তরের অনুসন্ধান টিম। এতে বিস্ময়কর সব তথ্য বেরিয়ে আসে। 


দেখা যায়, কোনো কোনো রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে, আবার কোথাও অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রীর ছিটেফোঁটাও নেই। জরুরি নির্গমন সিঁড়ি থাকলেও তা রান্নার উপকরণসহ বিভিন্ন মালামালে ঠাসা। 


এমনকি বাতাস চলাচলের ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই অনেক রেস্টুরেন্টে। গ্লাসে মোড়ানো চারদিক। তবে প্রায় সব জায়গাতেই আছে রান্নাঘর লাগোয়া গ্যাস সিলিন্ডার। এক কথায়, যেসব কারণে বেইলি রোডে এতবড় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তার সবকিছুই এসব রেস্টুরেন্টে বিদ্যমান। 


এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র শাহজাহান শিকদার শুক্রবার বলেন, অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে গ্যাস সিলিন্ডার সব সময় চুলা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা এক নম্বর শর্ত। এক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস পরামর্শ দেয় সিলিন্ডার ভবনের নিচে, সম্ভব হলে দেওয়ালের বাইরে রাখতে। এছাড়া গ্যাস লিকেজ হলে যাতে আগুনের সূত্রপাত না হয় সেজন্যও বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। কিন্তু অনেক জায়াগায় এসব শর্ত প্রতিপালন হতে দেখা যায় না। এতে অগ্নিকাণ্ডের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হয়। 


ধানমন্ডি : সাতমসজিদ রোডের ইম্পেরিয়াল আমিন আহমেদ সেন্টারের ১৩ তলায় জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জ। শুক্রবার দুপুর দেড়টা থেকেই দীর্ঘ লাইন লিফটের সামনে। ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, ১৩ তলা ছাড়াও ছাদের একটি অংশে রেস্টুরেন্ট সম্প্রসারণ করা হয়েছে কাঠের কাঠামোর ওপর। এর একদিকে রান্নাঘর। অন্তত ১০টি বিশালাকার গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে জ্বলছে একাধিক চুলা। রীতিমতো উত্তপ্ত রান্নাঘর। 


অথচ রেস্টুরেন্ট ঘুরে কোথাও জরুরি অগ্নিনির্বাপণ উপকরণ দেখা গেল না। অজ্ঞাত কারণে সিঁড়ির একমাত্র প্রবেশ মুখও আটকে রাখা। পাশের এক ঘুপচি ঘরে বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এখানে আবার এক জায়গায় ফায়ার লাইসেন্সের কপি ঝোলানো আছে। কিন্তু সেটিতে মেয়াদ রয়েছে ২০২০ সাল পর্যন্ত। 


তবে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের দাবি যথাযথ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে তাদের। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো ঘাটতি নেই। অগ্নিনির্বাপণের সব ব্যবস্থা আছে। কিন্তু ভবনের সিঁড়িতে ঢুকে দেখা যায়, প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। যত্রতত্র রাখা গ্যাস সিলিন্ডার, রান্নার উপকরণ এবং আবর্জনা ভর্তি প্লাস্টিকের ড্রাম। 


ভবনের অন্য ফ্লোরগুলোতে রয়েছে ক্যাফে রিও, এমব্রোসিয়া ইনফিনিটি লাউঞ্জ, ভাইবস, কিমচি, গার্লিক অ্যান্ড জিঞ্জার, কাবাব ফ্যাক্টরি, বাফেট স্টোরিজ, স্পাইসি রমনা ও ধাবাসহ আরও বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট। ইম্পেরিয়াল সেন্টারের ঠিক বিপরীতে রূপায়ণ জেড আর প্লাজা নামের আরেকটি ১২ তলা ভবন। সেখানেও নামিদামি একাধিক রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড ঝুলছে। বাফেট এম্পায়ার, দ্য ডার্ক মিউজিক ক্যাফে, মুম্বাই এক্সপ্রেস, বাফেট লাউঞ্জ ও বাফেট প্যারাডাইস ইত্যাদি। ফলে যথারীতি লিফটে ঢোকার মুখে ভোক্তাদের দীর্ঘ সারি। 


ভবন ঘুরে দেখা যায়, প্রশস্ত সিঁড়ি থাকলেও অনিয়ম বেজমেন্টে। সেখানে গড়ে উঠেছে ধানমন্ডি কাবাব নামের এক বাংলা রেস্টুরেন্ট। আশপাশে ছড়িয়ে রয়েছে কয়লা, গ্যাস সিলিন্ডার, বারবিকিউ চুলাসহ অনেক কিছু। এছাড়া কয়েকটি ফ্লোর দিয়ে জরুরি নির্গমন সিঁড়িতে ঢোকার পথও বন্ধ। সিঁড়ি আটকে তৈরি করা হয়েছে রান্নাঘর বা টয়লেট। 


জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ভবনে ‘কাচ্চি ভাবি’ নামের এক রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ডে চোখ আটকে যায়। ১৪ তলা এ ভবনের নাম মীর নূর স্কয়ার। হোল্ডিং নম্বর ৪৩, ২/এ। ভবনের ৫তলা পর্যন্ত বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও দোকান। এর ওপরে সব ফ্লোরে আবাসিক ফ্ল্যাট। অথচ নিচের রেস্টুরেন্টগুলোতে দিনভর ধুন্ধুমার রান্নার কাজ চলছে। যথারীতি সেখানেও ব্যবহার হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। 


ধানমন্ডি রোড নং ১০-এ তে ১৬ তলা আরেকটি ভবনের পুরোটায় রেস্টুরেন্টে ঠাসা। অথচ এখানে কোনো পার্কিং নেই। এমনকি যথাযথ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থাও নেই। নেই দ্রুত বের হওয়ার মতো জরুরি সিঁড়ি। 


শুক্রবার বিকালে ভবনটির সামনে গেলে ভোক্তাদের কয়েকজন বলেন, এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ খেতে আসেন। অথচ বেইলি রোডের মতো অগ্নিকাণ্ড ঘটলে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শন টিমের চোখ কি অন্ধ? আমরা যদি দেখতে পাই তাহলে তারা দেখে না কেন? 


গুলশান : অবৈধ ভবন হিসাবে চিহ্নিত গুলশানের ১১ তলা জব্বার টাওয়ারে রয়েছে দুটি জনপ্রিয় বাফেট রেস্টুরেন্ট। সাত তলায় দ্য ক্যাফে রিও এবং ১০ তলায় রয়েছে গার্লিক এন জিঞ্জার। 


শুক্রবার বেলা ১১টায় ক্যাফে রিও রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায়, দুপুরের বুফে’র জন্য রান্নার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। সংকীর্ণ রান্নাঘরের একদিকে অন্তত ১০টি বড় আকারের গ্যাস সিলিন্ডার রাখা। পাশেই ডবল বার্নারের চুলা জ্বলছে দাউ দাউ করে।


রেস্টুরেন্টের ফায়ার সেফটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্যাফে রিও’র ম্যানেজার মুরাদ ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, তাদের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেস্ট ভালো। তবে বেইলি রোডের ঘটনার পর তারা নিজেরাও কিছুটা আতঙ্কিত। সামনের দিনগুলোতে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। 


তিনি বলেন, এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর তাদের ভবনেও অগ্নিনিরাপত্তার জন্য বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাচ্চি ভাইর দুর্ঘটনা থেকেও অনেকে হয়তো শিক্ষা নেবে। ১০ তলায় অবস্থিত গার্লিক এন জিঞ্জার রেস্টুরেন্টের সুপারভাইজার ইমতিয়াজ যুগান্তরকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শর্ত অনুযায়ী গ্যাস সিলিন্ডার তারা নিচে নামিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভবন কর্তৃপক্ষের আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে নিরাপত্তার জন্য সিলিন্ডার কক্ষটি কংক্রিটের ঢালাইয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। 


সিঁড়ি বন্ধ রিজেন্সির : খিলক্ষেত এলাকার তারকামানের হোটেল রিজেন্সিতে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ তলা ভবনের ছাদের বিশাল অংশ জুড়ে স্বতন্ত্র বিনোদন জোন করা হয়েছে। সেখানে আছে রেস্টুরেন্ট, বারবিকিউ এলাকা ও মদের বার। দিনে গ্রাহক না থাকলেও রাতে হোটেলের এই বিশেষ বিনোদন এলাকা থাকে গ্রাহক পরিপূর্ণ। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে পার্টি। অথচ সেখানে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রায় শূন্য। 


রাজউক বলছে, হোটেলের ছাদে নির্মিত বিনোদন জোন অবৈধ। এছাড়া বেজমেন্টে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ দোকান। ভবনে প্রবেশের একমাত্র সিঁড়িটিও বন্ধ। এসব অপসারণের জন্য গত বছর ২৮ মার্চ রিজেন্সি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় রাজউক। 


মহাখালী জোনের তৎকালীন অথরাইজড অফিসার মাসুক আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ১৫ তলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ইমারতের অনুমোদন নিয়ে দুটি বেজমেন্টের পার্কিংস্থলে ভারী মেশিনারিজ ও শোরুম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া ইমারতের ছাদে অবৈধভাবে করা হয়েছে সুইমিংপুল ও আবাসিক হোটেল, যা ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৯৫-এর সংশ্লিষ্ট ধারার পরিপন্থি। 


এ প্রসঙ্গে রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, রিজেন্সি হোটেলের সিঁড়ি বন্ধ থাকায় হোটেলটি দুর্ঘটনার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে ছাদে আগুন লাগলে বেরিয়ে আসার কোনো পথ নেই। ফলে ভবন থেকে লাশ বের করতেও ফায়ার সার্ভিসকে বেগ পেতে হবে। তবে শুধু রিজেন্সি নয়, অবৈধ সম্প্রসারণ হয়েছে পল্টনের হোটেল ৭১, ফারর্স ও রাজমনি ঈসা খাঁসহ আরও বেশ কয়েকটি হোটেল ভবন। 


মিরপুর : রাজধানীর মিরপুরেও যত্রতত্র চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও বাংলা হোটেল গড়ে উঠেছে। কিন্তু রান্নাঘরের সঙ্গে রেখে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করায় এসব রেস্টুরেন্টের বেশির ভাগই রয়েছে অগ্নিঝুঁকিতে। 


শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর ১২ নম্বরের ৭ নম্বর রোডের একটি নয়তলা ভবনের প্রায় সব ফ্লোরেই আছে নামিদামি রেস্টুরেন্ট। অথচ ভবনের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। কাচঘেরা পুরো ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়িও নেই। ভবনের নয় ও দশতলাজুড়ে থাকা পস লাউঞ্জ নামের রেস্টুরেন্টে সরু প্রবেশ পথের একদিকে রান্নাঘর। পাশেই রাখা বড় দুটি গ্যাস সিলিন্ডার। অথচ নিয়মানুযায়ী সিলিন্ডার থাকার কথা ভবনের নিচে। অথবা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে। 


এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পস লাউঞ্জের সহকারী ম্যানেজার রাকিব বলেন, তারা নিচে গ্যাস সিলিন্ডার রাখার জায়গা না থাকায় রান্না ঘরের পাশেই রাখতে হচ্ছে। একই অবস্থা দেখা যায়, মিরপুর ১২ নম্বরের সাফুরা ট্রেড সিটিতে। ভবনের দশতলার ফুডকোর্টের সব রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ সেখানে অগ্নিনির্বাপনের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। 


মোহাম্মদপুর : রিং রোড, তাজমহল রোড, নূরজাহান রোড, শিয়া মসজিদ ও শ্যামলী এলাকার ছোট বড় ভবনে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট দেখা যায়। ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পেক নামের একটি ১৬ তলা ভবন রীতিমতো রেস্টুরেন্টে ঠাসা। অথচ এ ভবনের কোথাও ন্যূনতম অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা দেখা যায়নি। এমনকি রেস্টুরেন্টগুলোতেও ফায়ার ফাইটিংয়ের প্রাথমিক যন্ত্রপাতি নেই। নিরাপত্তার জন্য ভবনের নিচতলায় সিলিন্ডার রাখা হলেও ওপরে গ্যাস সংযোগ নেওয়া হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে। 


শুক্রবার দুপুরে এ ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে আসা আব্দুল্লাহ সারোয়ার নামের এক যুবক বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় তিনি ভয়ে আছেন। কারণ, জরুরি মুহূর্তে এ ভবন থেকে বের হওয়ার জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। 


পুরান ঢাকা : রাজধানীর পুরান ঢাকা এলাকার হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে রান্নায় ব্যবহৃত হচ্ছে বড় বড় গ্যাস সিলিন্ডার। অথচ বেশির ভাগ হোটেলেই অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের বালাই নেই। এমনকি হোটেল ব্যবসায় বাধ্যতামূলক হলেও অনেকের ফায়ার সেফটি লাইসেন্সও নেই। অথচ দিনের পর দিন তারা প্রকাশ্যে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। 

আগামসি লেনের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, এলাকার অলিগলির রাস্তা এমনিতেই সরু। এখানে পাশাপাশি দুটি রিকশাও একসঙ্গে চলতে পারে না। এর মধ্যে এতগুলো হোটেলে গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে যায়। 


যাত্রাবাড়ী : কদমতলী ও শনিরআখড়া এলাকায় শর্মা কিং, দক্ষিণা কিচেন, ফুড গার্ডেন ও পিজা বার্গসহ হরেক নামের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। তবে বেশির ভাগ জায়গায় রেস্টুরেন্টগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। ভবনের জরাজীর্ণ সিঁড়ি অপ্রশস্ত। আবার এলাকার বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টে ফায়ার লাইসেন্সও নেই। 


ফুড গার্ডেন নামের স্থানীয় এক রেস্টুরেন্ট মালিক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে রেস্টুরেন্ট করেছি। আগে থেকেই বাড়িতে একটিমাত্র সিঁড়ি রয়েছে। ফলে তাদের কিছুই করার নেই। ফায়ার লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় চিরকুট রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সিয়াম যুগান্তরকে বলেন, না এখনো তারা লাইসেন্স নেননি। তবে শিগগিরই লাইসেন্স নেওয়া হবে।