যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর, তেহরানের পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘এই হামলার ভয়াবহ পরিণতির পূর্ণ দায়ভার ওয়াশিংটনকেই বহন করতে হবে।’
গতকাল রবিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)–এর বৈঠকের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরাগচি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এই ধরণের আগ্রাসনের দায় থেকে তারা রেহাই পাবে না।’
জাতিসংঘ সনদের অধীনে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তেহরান তার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একাধিক পথ অবলম্বনের অধিকার রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান কখনো তার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রশ্নে আপস করবে না। আত্মরক্ষায় প্রযোজনীয় সব উপায় ও উপকরণ ব্যবহারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
আরাগচি স্পষ্ট করে জানান, ইরানের ওপর আগ্রাসন বন্ধ না হলে তেহরান কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগে ফিরবে না। আলোচনায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত কেবল আগ্রাসন বন্ধের পরই বিবেচনায় নেওয়া হবে।
এর আগের দিন গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—এই তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায়। পরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, তাঁর দেশ সফলভাবে এই হামলা পরিচালনা করেছে।
সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি