দূরন্ত বিডি ডটকম --------------------------------স্বাগতম ২০২৪--------------------------- মানবতার কথা বলে ------------------------------------------------------ durontobd.com দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: প্রস্তুত গুলশানের ডুপ্লেক্স বাড়ি - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: প্রস্তুত গুলশানের ডুপ্লেক্স বাড়ি


স্টাফ রিপোর্টার

তথ্যই শক্তি, সত্যই সাহস

নির্বাসন শেষে প্রত্যাবর্তনের প্রহর গুনছেন তারেক রহমান। এতেই বাংলাদেশের রাজনীতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শুধু রাজনীতিক মহলে নয়, সাধারণ মানুষের মুখেও এখন একটাই নাম "তারেক রহমান"।


১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আর এই প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত আবাসন এলাকা—গুলশান-২।


বিশ্বস্ত সূত্র ও "দেশ রূপান্তর" পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, গুলশানের অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর ডুপ্লেক্স বাড়ি ইতোমধ্যেই সাজানো হয়েছে তারেক রহমানের জন্য।

বাড়ির ইতিহাস ও বর্তমান প্রস্তুতি

দেড় বিঘা জমির ছায়াঘেরা স্বপ্ননিবাস


এই বাড়িটি একসময় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (BATB) কোম্পানির ভাড়ায় ছিল। তবে ছয় মাস আগে প্রতিষ্ঠানটি সেটি ছেড়ে দেওয়ার পর বাড়িটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।


মূল মালিকানা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে, তবে সম্প্রতি নামজারি করে তা তারেক রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়েছে—যা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত উভয় দিক দিয়েই গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতীকী পদক্ষেপ।


বর্তমানে বাড়িটির অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সাজসজ্জা সম্পূর্ণ, এবং তা এখন সম্পূর্ণ বসবাসযোগ্য।


সূত্রমতে, বাড়িতে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য বাগান ও ছায়াবৃক্ষ সংরক্ষিত, আর ভেতরের পরিবেশ রাখা হয়েছে নিরিবিলি, গোছানো ও প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতার মর্যাদার উপযোগী।

তারেক রহমানের ফেরাকে ঘিরে রাজনীতিতে আলোড়ন

২০০৮ সালের পর থেকে রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানের ফেরাকে অনেকেই দেখছেন একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে। তিনি দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও দেশে ছিলেন অনুপস্থিত।


এই ফিরে আসা শুধু ব্যক্তিগত বা পারিবারিক নয়—এটি রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রত্যাবর্তনও বটে।


বিশ্লেষণ: কেন এই ফিরে আসা এখন?


১) নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ

বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় ক্ষমতার পালাবদল, নির্বাচন ও জনমতের নতুন জোয়ারে বিএনপি যেমন ঘুরে দাঁড়াতে চায়, তেমনই নেতৃত্বে শক্তি ও সাহসের প্রদর্শন প্রয়োজন—যার প্রতীক হতে পারেন তারেক রহমান।


২) পরিবারের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং রাজনীতির অস্থির সময়, উভয় বিবেচনায় পরিবার ও দলীয় নেতৃত্ব এখন তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিকে জরুরি মনে করছে।


৩) আন্তর্জাতিক সংলাপ ও কূটনৈতিক নড়াচড়া

বিদেশে অবস্থানকালে তারেক রহমান অনেক আন্তর্জাতিক লবিস্ট ও কূটনীতিকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। দেশে ফিরে তিনি হয়তো এই সংযোগগুলোকে কাজে লাগাতে চাইবেন নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নির্মাণে।


ঘনিষ্ঠদের মন্তব্য

ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, "দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরা মানে শুধু বাসায় ওঠা নয়, এটি হচ্ছে একটি চেতনার প্রত্যাবর্তন। গুলশানের এই বাড়ি শুধু বাসস্থান নয়—এখন এটি একটি রাজনৈতিক ঘাঁটি।”


এও জানা গেছে, বাড়িতে বসার ঘর থেকে শুরু করে সভা-সেমিনার আয়োজনের উপযোগী কনফারেন্স স্পেসও সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ, এবং আগত অতিথিদের জন্য নির্ধারিত জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে আলাদা।


দেশে ফেরার দিনক্ষণ কবে?

এখনও তার সুনির্দিষ্ট ফেরার তারিখ দল বা পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি। তবে যেভাবে প্রস্তুতি চলছে এবং বাড়িটি যেভাবে সাজানো হয়েছে, তাতে বলা যায়—ফেরার দিন গুনছেন তিনি।


বিমানবন্দর থেকে গুলশান—সব রুটেই এখন নিরাপত্তা, কৌতূহল ও জল্পনা তুঙ্গে।


জনমনে প্রতিক্রিয়া

সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন—এই প্রত্যাবর্তন কতটা রাজনীতিকে পাল্টাবে?

⇨ কেউ বলছেন “নেতার আগমন, দলের নবজাগরণ”

⇨ কেউ বলছেন “নতুন সংঘর্ষের সূচনা”

⇨ আবার কেউ আশাবাদী: “গঠনমূলক রাজনীতির শুরু হোক”


১৭ বছর পর একটি ফেরার গল্প যখন শুরু হয়, তখন তা শুধুই ব্যক্তিগত হয় না—তা হয়ে ওঠে একটি জাতীয় ঘটনাপঞ্জির অংশ।


তারেক রহমান ফিরছেন—এটি এখন আর কেবল খবর নয়, এটি এখন একটি উপখ্যান। গুলশানের একটি বাড়ির দোতলা কক্ষে নয়, তিনি হয়তো ফিরবেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে।


এই ফেরায় আছে আশা, আকাঙ্ক্ষা আর একটি পরবর্তী যুগের সূচনা।