দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার দাবিতে উত্তাল তরুণ প্রজন্ম - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

Tuesday, 1 July 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার দাবিতে উত্তাল তরুণ প্রজন্ম


ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জহির শাহ্

দীর্ঘদিনের অবহেলা, উপেক্ষা আর বঞ্চনার জবাব দিতে এবার রাস্তায় নেমেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার্থীরা। তাদের কণ্ঠে এখন একটাই প্রশ্ন—"আমাদের জেলার প্রাপ্য কেন এখনো বাকি?"


রোববার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বর যেন পরিণত হয়েছিল বঞ্চিত তরুণদের প্রতিবাদচৌকিতে।


তাদের দাবি—সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এখনই চাই। 


কে ছিলেন এই আন্দোলনে?

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফাহিম মুনতাসির (সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি)।

সঞ্চালনায় ছিলেন সানিউর রহমান (ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক)।


প্রতিনিধিত্ব করেন—

আব্দুন নুর (গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য আহ্বায়ক)

বিশ্বজিৎ পাল (খেলাঘর সহ-সভাপতি)

সাংবাদিক ও শিক্ষক শাহাদত হোসেন

শিক্ষার্থী সাবের হোসেন, ওমর ফারুক, মানজুরুল হাসান, জসিম উদ্দিন


মোকাররম হোসেন (ছাত্রদল কর্মী)

মোজ্জামেল হক (ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক)

সাইফুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজ)

মুস্তফা জাফরি (অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়)


কেন এই দাবি?

৩৪ লাখ মানুষের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মাত্র একটি ২৫০ শয্যার হাসপাতাল—যা এক কথায় অপ্রতুল।

হৃদরোগের রোগীদের ৪০–৬০ শতাংশই মারা যান ঢাকায় নেওয়ার পথে, এমন তথ্য দিয়েছেন বক্তারা।

এ ছাড়া, ৫০ বছরেও এই জেলায় কোনো সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।


অথচ এই জেলাতেই আছে—

বহুজাতিক গ্যাসক্ষেত্র

বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সার কারখানা

আন্তর্জাতিক নদী ও স্থলবন্দর

বহু প্রবাসীর রেমিটেন্স উৎস

অত্যন্ত সমৃদ্ধ কৃষি উৎপাদনশীলতা


বক্তাদের ভাষায়, "উন্নয়নে আমরা সিংহভাগ দিচ্ছি, অথচ সেবা ও শিক্ষায় বঞ্চিত হচ্ছি। এটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"


অতীত চেষ্টার দলিল

ফাহিম মুনতাসির জানান, গত ৫ বছর ধরে তিনটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে—

শিক্ষা উপদেষ্টা

পরিকল্পনা উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা

এমনকি প্রধান উপদেষ্টার কাছেও

কিন্তু আজও কোনো কার্যকর ঘোষণা আসেনি।


✪ সমাবেশের সুর কেমন ছিল?

বক্তারা ছিলেন ক্ষুব্ধ, কিন্তু সংগঠিত।

তাদের বার্তা ছিল পরিষ্কার— “আমরা চাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর বঞ্চনার শহর না থাকুক। আমাদের মেডিকেল কলেজ, কৃষি ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় চাই এখনই। আমরা অপেক্ষায় ক্লান্ত।”



“স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫০ বছরে যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও না আসে, তবে এটা কীভাবে সমতার বাংলাদেশ?”


কী ঘটলো শেষমেশ?

সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা শহরের বিভিন্ন পথ অতিক্রম করে।

মানুষ থমকে দাঁড়িয়ে দেখে—একটি জেলা আজ নিজের অধিকারের জন্য পথে নেমেছে।


শেষ কথা

ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী আর চুপ থাকবে না।

তরুণরা জানিয়ে দিয়েছে—স্বাস্থ্যসেবা ও উচ্চশিক্ষা বঞ্চনার অবসান চাই এখনই।