দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ইনজেকশনের গায়ে ৭ টাকা ৫০ পয়সা, দাবি ৩৫০! - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

Thursday, 3 July 2025

ইনজেকশনের গায়ে ৭ টাকা ৫০ পয়সা, দাবি ৩৫০!


জহির শাহ্, জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফার্মেসিকে জরিমানা ৪০ হাজার টাকা

রাত তখন ১২টা। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শুয়ে আছেন এক প্রসূতি। চিকিৎসকরা জানালেন, “জরুরি ইনজেকশন না দিলে জটিলতা বাড়তে পারে।” পরিবারের সদস্যরা ছুটে গেলেন ওষুধের খোঁজে।


শহরের প্রায় সব ফার্মেসি বন্ধ। অবশেষে কুমারশীল মোড়ের জান্নাত ফার্মেসি খোলা পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন কামরুল হাসান নামের একজন—তা সমাজে নৈতিক বাণিজ্যচর্চা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।


অভিযোগ কী?

কামরুল বলেন,“আমি ইনজেকশন নিতে গেলে ওরা ৭ টাকা ৫০ পয়সার ইনজেকশনের দাম চায় ৩৫০ টাকা। রশিদ চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।”


এ অভিযোগ শুধু মুখের কথা ছিল না। কামরুল সেই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনাটি তুলে ধরেন, যা ১০ ঘণ্টার মধ্যে দুই লাখের বেশি মানুষ দেখেন। সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া ও চাপে বিষয়টি পৌঁছায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টিতে।


তদন্তে কী উঠে আসে

- বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


২ জুলাই, বিকেলে জান্নাত ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়। নেতৃত্ব দেন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।


তিনি গণমাধ্যমকে জানান—“আমরা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাই। শুধু কামরুল নন, আরও কিছু ভোক্তার কাছ থেকেও অনুরূপ অভিযোগ পেয়েছি। অতিরিক্ত দামে বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”


ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য দেওয়া হয়েছে সতর্ক বার্তা।


✪ কারা সহায়তা করেছে?

এ অভিযানে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (CAB) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন এবং আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সহায়তা করেন।


কেন এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ?

এই প্রতিবেদনে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যক্ষ ভুক্তভোগীদের বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিত্তিতে যাচাই করে উপস্থাপন করা হয়েছে। কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়, বরং জনসচেতনতা তৈরিই একমাত্র উদ্দেশ্য।


এমন ঘটনা শুধু মূল্যবোধ নয়, মানুষের জীবন ও বিশ্বাসকে বিপন্ন করে তোলে।


এই প্রতিবেদন যেন ব্যবসায়িক সততা ও মানবিক দায়িত্ববোধ—এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য ফেরাতে একটি ছোট পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়ায়, সে-ই কামনা।