ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের অবসান ঘটলেও উত্তেজনা প্রশমন পুরোপুরি হয়নি। এ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের প্রাক্তন পরামর্শদাতা জাভেদ লারিজানি। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লারিজানির হুঁশিয়ারি, ফ্লরিডার বাড়িতে রোদ পোহানোর সময় ট্রাম্পের নাভি লক্ষ্য করে হতে পারে ড্রোন হামলা। ট্রাম্প অবশ্য জানিয়েছেন, বহু বছর তিনি রোদ পোহান না।
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমকে খামেনেইয়ের প্রাক্তন পরামর্শদাতা বলেন, “পেট উন্মুক্ত করে তিনি (ট্রাম্প) শুয়ে থাকবেন। আর একটি ছোট ড্রোন হয়তো তাঁর নাভিতে আঘাত করবে।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “ট্রাম্প এমন কিছু করেছেন, যার জন্য তিনি বেশি দিন মার-আ-লাগো (ফ্লরিডার পাম বিচে প্রাসাদোপম বাড়ি, যেখানে মাঝেমধ্যেই ছুটি কাটাতে যান ট্রাম্প)-য় রোদ পোহাতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েল-ইরান যুদ্ধের আবহেই খামেনেইদের দেশে থাকা ফোরডো, নাতান্জ় এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকার সামরিক বাহিনী।
ইরানে হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনার জন্য দু’সপ্তাহ সময় নেওয়ার কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু দু’সপ্তাহ তো দূর, ট্রাম্পের ওই বার্তার দু’দিন যেতে না যেতেই ইরানের উপর আক্রমণ চালায় আমেরিকার সামরিক বাহিনী। তার পরেই প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। শেষমেশ অবশ্য দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।
খামেনেইয়ের প্রাক্তন পরামর্শদাতার এই হুঁশিয়ারি নিয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-এর এক সাংবাদিক। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়, এই হুঁশিয়ারিকে তিনি কি সত্যিই বড় হুমকি হিসাবে দেখছেন? ট্রাম্প বলেন, “হ্যাঁ, আমার মনে হয় এটা একটা হুমকিই। তবে আমি এই বিষয়ে নিশ্চিত নই।” ট্রাম্প হেসে জানান, বহু বছর তিনি রোদ পোহাননি। অনেক ভেবে জানান, সাত বছর বয়সে তাঁর এমন একটি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার পর থেকে আর রোদ পোহাননি তিনি।