Friday, 11 July 2025

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের আদেশ স্থগিত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার নিয়ম সীমিত করা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশের কার্যকারিতা সারা দেশে স্থগিত করেছেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের কনকর্ডে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত।


ফেডারেল আদালতের বিচারক জোসেফ লাপ্লান্ত বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। রায়ে তিনি জানান, আদেশটি কার্যকর হলে বহু শিশুর নাগরিকত্ব হুমকির মুখে পড়বে, যা একান্তই ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ ডেকে আনতে পারে।


আদেশটি স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে অভিবাসন অধিকারকর্মীরা মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই রায় দেওয়া হয়।


মামলাটিতে বলা হয়, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার যেন কোনো শিশুর ক্ষেত্রেই খর্ব না হয়। বিচারক লাপ্লান্ত মামলাটি শ্রেণি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আদেশটি জাতীয়ভাবে স্থগিত করেন।


তবে তিনি সরকারের আপিল করার সুযোগ দিতে এই স্থগিতাদেশের কার্যকারিতা সাত দিন পিছিয়ে দিয়েছেন এবং লিখিত রায় পরবর্তীতে দেবেন বলে জানিয়েছেন।


এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের আদেশকে আংশিকভাবে সমর্থন জানালেও শ্রেণি মামলা হিসেবে এর চ্যালেঞ্জ চলতে পারবে বলে রায় দেয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (অ্যাক্লু) ও অন্যান্য সংস্থাগুলো দ্রুত দুটি শ্রেণি মামলা করে, যার একটি বিচারক লাপ্লান্তের আদালতে বিচারাধীন ছিল।


লাপ্লান্ত তার আগের পর্যবেক্ষণেও বলেছিলেন, ট্রাম্পের আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি ১৮৯৮ সালের ঐতিহাসিক ‘যুক্তরাষ্ট্র বনাম ওং কিম আর্ক’ মামলার রায়ের উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন শিশুর নাগরিকত্ব তার পিতামাতার অভিবাসন অবস্থার মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়।


ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও যদি কোনো শিশুর পিতামাতার কেউই মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী না হন, তাহলে শিশুটিকে আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, এই আদেশ কার্যকর হলে বছরে আনুমানিক ১.৫ লাখ নবজাতক নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হতে পারত।