সময় পক্ষে নেই বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের। বছর শুরু হয়েছে দুষ্কৃতিকারীর কোপ খেয়ে। এবার হারাতে বসেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তির পুরোটাই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে সাইফদের ভোপালের নবাবের জমি সরকারি সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয় মুম্বাইয়ের শত্রু সম্পত্তি সংক্রান্ত দপ্তর থেকে। এরপরই আইনের দ্বারস্থ হয় পতৌদি পরিবার।
দাবি করা হয়, ভোপাল ও রাইসেনে অবস্থিত ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, আহমেদাবাদ প্যালেস থেকে রাইসেনের কোঠি ও কোঠি সংলগ্ন জঙ্গল ইত্যাদি সবই পতৌদিদের সম্পত্তি। কিন্তু শত্রু সম্পত্তি আইনে সব হাতছাড়া হতে চলেছে তাদের। এরপর ২০১৫ সালে ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও ফের অস্বস্তিতে সাইফ পরিবার। কেননা সম্প্রতি রাজ্যের হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। এরপরই দেশটির উচ্চ আদালত খারিজ করে দেয় সাইফের আবেদন। ফলে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পদ হাতছাড়া হতে বসেছে সাইফ পরিবারের।
বলে রাখা ভালো, ভোপালের শেষ নবাব শেখ হামিদুল্লা খান সাইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মাতামহ। তার ছিল তিন কন্যা। এরমধ্যে বড় মেয়ে আবিদা খান চলে যান পাকিস্তানে। দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান সাইফের দাদা ইফতেখার আলী খান পতৌদিকে বিয়ে করে থেকে যান ভারতে। সাজিদাকে বিয়ে করায় ভোপালের সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন ইফতেখার আলী।
এরপর ২০১৯ সালে ভারতীয় আদালত সাজিদা সুলতানের নাতি হিসেবে সাইফকেও ওই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। কিন্তু কে জানত আবিদার পাকিস্তানে থিতু হওয়াই হবে কাল। সেটিই হয়েছে। দেশটির সরকার ওই সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করায় ১৫ হাজার কোটি রুপির জায়গা জমি হারাতে বসেছেন পর্দার রাবণ।