দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে হবে গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজ - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

Tuesday, 15 July 2025

সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে হবে গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজ


জাতীয় প্রতিবেদক :
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্মৃতি তুলে ধরবে সরকার। শহীদদের স্মারক এবং বিগত সরকারের নিপীড়নের বিভিন্ন ঘটনা জনগণের সামনে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।


মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জাদুঘর রূপান্তরের কাজ শেষ করতে ‘সিভিল’ এবং ‘ই/এম’ অংশের নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এই কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা।


বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়। আগামী ৫ আগস্ট এই জাদুঘরের উদ্বোধন করা হতে পারে।


নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাদুঘরের ই/এম অংশের নির্মাণ বা সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে এটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্স-কে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত বিভাগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।


জাদুঘরের ‘ই/এম’ অংশ বলতে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল উপাদান বোঝানো হয়, যার মধ্যে ইলেকট্রিক তার, সুইচসহ নানা ধরনের বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ‘সিভিল’ অংশ বলতে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল ব্যতীত অবশিষ্ট নির্মাণ কাঠামো বোঝায়। ফলে ‘ই/এম’ ও ‘সিভিল’- এই দুই অংশ মিলিয়ে জাদুঘরের পুরো কাঠামোই অন্তর্ভুক্ত হয়।


জাদুঘরের ই/এম অংশ নির্মাণ বা সংস্কার কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার জন্য বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।


বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাদুঘরের সিভিল অংশের কাজও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’-কে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত বিভাগ এই সিদ্ধান্ত নেয়। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।