ঢাকা প্রতিনিধি :
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অনেকে চিকিৎসাধীন।
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ ব্যক্তিদের হাসপাতালে দেখতে ভিড় না করার জন্য অনুরোধ করেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।
২০২৩ সালে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে এ কথা বলেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে শারমিন আঁখি লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ বাচ্চাদের কাছে যত কম ভিজিটর (দর্শনার্থী) যাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। প্রচুর ইনফেকশন (সংক্রমণ) হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এই সময়ে। আগুনে পোড়ার পরবর্তী এফেক্ট হচ্ছে ইনফেকশন।
চিকিৎসাধীন বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে চাইলে প্লিজ আবেগের বশবর্তী হয়ে এই মুহূর্তে তাদের দেখতে যাবেন না।’
ফেসবুকে শারমিন আঁখি লিখেছেন, ‘আমাদের চামড়া জার্ম প্রটেক্ট করে। যেখানে চামড়াই নেই, সেখানে প্রটেকশন একদম জিরো লেভেলে। ইনফেকশনের কারণে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়।
পোড়ায় মরে না। চামড়ার পোড়ার কষ্টের সঙ্গে অন্য কোনো যন্ত্রণা মেলাতে যাবেন না। ওপরটা পোড়ায় ভেতরটাও পোড়ায়।। ড্রেসিংয়ের যন্ত্রণা আরও অসহ্যকর।
নতুন চামড়া এলেই সেই চামড়া ঘষে আবার ওঠানো হয়। ট্রমা শুরু হবে আর ১০ দিন পরে। এখন প্রত্যেকটা বাচ্চা অনুভূতিশূন্য। এই মুহূর্তে একমাত্র ডক্টর ছাড়া ওদের আশপাশে যত কম যাওয়া যায়, ততই ভালো। বাসায় ফেরার পর প্রত্যেকটা বাচ্চার মনোসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি তিন মাস মনোসামাজিক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছি। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতা অনেক জরুরি।’
২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি মিরপুরের একটি শুটিংবাড়িতে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। সেদিনই তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই বিস্ফোরণে আঁখির হাত, পা, চুলসহ ৩৫ শতাংশ পুড়ে যায়। মার্চে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছিলেন তিনি।