দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। কাল শেষ টি-২০ ম্যাচ ফাইনালে রূপ নিয়েছে - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

Tuesday, 15 July 2025

কাল শেষ টি-২০ ম্যাচ ফাইনালে রূপ নিয়েছে


খেলার ডেস্ক :
ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হলো সেটাই। আর দুই জয়েই একটা মিল, পারফর্ম করেছেন শামীম পাটোয়ারী। ওয়ানডেতে বল হাতে আর রোববার টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ে। রোববার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৩ রানের রেকর্ড জয় পেয়েছে টাইগাররা। এতে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে লিটন কুমার দাসের দল। 


আগামীকাল বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দু’দল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ সামনে রেখে শামীম বলেন, ‘আমি সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। এই টি-টোয়েন্টি খেলায় যত বেশি ইতিবাচক থাকবো আমি মনে করি ততো ভালো।’ 


ডাম্বুলাতে  আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭৭ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে ২৭ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন শামীম। জবাব দিতে নামা লঙ্কানদের প্রথম উইকেট ছিল রান আউট। সিরিজজুড়ে দারুণ ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিসকে দারুণ এক থ্রোতে রান আউট করেছেন শামীম। বোলারদের বোলিং নৈপুণ্যে মাত্র ৯৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।রানের হিসেবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়েছিল তারা। সব মিলিয়ে এর চেয়ে বড় জয় আছে আর মাত্র একটি। ২০২১ বিশ্বকাপে পিএনজির বিপক্ষে ৮৪ রানে জিতেছিল তারা। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সব মিলিয়ে এবারই প্রথম একশর কমে অলআউট হলো তারা। 


৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন লিটন দাস। দ্রুত এরপর ২ উইকেট হারালে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে শামীম হোসেন-লিটনের জুটিটা হয় ৩৯ বলে ৭৭ রানের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যাটিং প্ল্যান নিয়ে শামীম বলেন, ‘আমি ব্যাটিংয়ে গেলে সবসময় আমার প্ল্যান থাকে ইতিবাচক থাকার। ঝুঁকি নিতেই হবে কারো না কারো। তো আমি নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে ঝুঁকিটা নিয়ে ফেলি। এবিডি’র (এবি ডি ভিলিয়ার্স) ব্যাটিং পছন্দ করি সবসময়। আমি সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। এই টি-টোয়েন্টি খেলাটায় যত বেশি ইতিবাচক থাকবো আমি মনে করে তত ভালো।’

 
ক্যান্ডির প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং খুব ভালো না হলেও শামীমের ৫ বলে অপরাজিত ১৪ রানের ক্যামিওতে টি-টোয়েন্টির মেজাজ ছিল। রোববারও তার দুই ছক্কা আর পাঁচ বাউন্ডারির ইনিংসে ঝলসে ওঠে একই আত্মবিশ্বাস। শামীম বলেন, ‘যে জায়গায়ই ব্যাটিং করি না কেন, আমি আত্মবিশ্বাসী থাকি। চেষ্টা করি ভালো কিছু করতে।’ ব্যাটিংয়ে ভালো ইনিংস খেলা, বোলিংয়ে অবদান রাখা কিংবা ভালো ফিল্ডিং- সবকিছুকেই শামীম মনে করেন নিজের দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘এসব করে খুশি হওয়ার কিছু নেই। এটাই আমার প্রতিদিনের কাজ।’