আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সমন্বয় বৈঠক। শুক্রবার এ বিষয়ে অবগত সূত্রগুলোকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস। এতে বলা হয়, ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর মহাপরিচালক দলজিত সিং চৌধুরী। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এটি হবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের পর দ্বিতীয় মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক।
বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আলোচনায় যেসব ইস্যু থাকছে তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশে সক্রিয় ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর (আইআইজি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সীমান্ত অবকাঠামোগত সমস্যা, বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা বিএসএফ সদস্য ও ভারতীয় নাগরিকদের ওপর হামলা, সীমান্ত অপরাধ দমন, একক সারির কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ পদক্ষেপ। যদিও বিএসএফের বিবৃতিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টি সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবে আলোচনায় এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে অবগত সূত্রগুলো জানিয়েছে। অনিরাপদ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের ঘটনাকে এ আলোচনার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এর আগে সর্বশেষ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২০২৫ সালের ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি, নয়াদিল্লিতে।
এই বৈঠকগুলো প্রতিবছর দুইবার ভারত ও বাংলাদেশে পালাক্রমে হয়। ফেব্রুয়ারির বৈঠকে দুই বাহিনীর প্রধানরা বিতর্কিত বেড়া নির্মাণস্থলগুলোতে যৌথ পরিদর্শন ও জরিপে সম্মত হন। তবে বিএসএফ কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, বিজিবি কয়েকটি স্থানে বেড়া নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করেছে, যদিও আগের সরকারের আমলে চুক্তি হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে প্রায় এক ডজন স্থানে এখনো সমঝোতা হয়নি, যেখানে ১৫০ মিটারের মধ্যে একক সারির বেড়া নির্মাণ নিয়ে মতবিরোধ বিদ্যমান। উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ নির্দেশিকা (১৯৭৫) অনুযায়ী প্রশাসনিক সমস্যাগুলো সমাধানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিয়মিত যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। পরে ১৯৯৩ সালের ৭ থেকে ৯ অক্টোবর ঢাকায় ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক প্রতিবছর দুইবার হবে।