Saturday, 23 August 2025

আগে থেকেই শুনতাম বাংলাদেশিদের নাকি পাওয়ার নেই: জুলিয়ান উড


খেলার রিপোর্ট :
নেদারল্যান্ডস সিরিজ এবং এশিয়া কাপ সামনে রেখে সিলেটে চলছে টাইগারদের ক্যাম্প। সেখানে ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং শেখাচ্ছেন জুলিয়ান উড। পাওয়ার হিটিংয়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘদেহী ক্রিকেটাররা সাধারণত পান বাড়তি সুবিধা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের তাই সবসময়ই বড় বড় ছক্কা মারতে দেখা যায়। এখানে কেন পিছিয়ে বাংলাদেশ? সেটারই উত্তর খুঁজেছেন জুলিয়ান উড।



আজ শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ দলের পাওয়ার হিটিং কোচ বলেন, ‘(বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের শক্তি নেই) এটি বড় একটি মিথ। আমি তিন সপ্তাহ ধরে এখানে আছি। আমি আগে থেকেই এই মিথ শুনতাম যে, বাংলাদেশিদের নাকি পাওয়ার নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দেখুন, তারা বড় গড়নের, ভিন্ন ধরনের, শারীরিকভাবেও ভিন্ন। ইংল্যান্ড শক্তিশালী, অস্ট্রেলিয়াও শক্তিশালী। এরা (বাংলাদেশিরা) একটু ছোট গড়নের, তবে তাদের পাওয়ার আছে, বিশ্বাস করুন, যথেষ্ট পাওয়ার আছে।’




জুলিয়ান বলেছেন, শুধু পাওয়ার থাকলেই হবে না, সেটির যথাযথ ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ, ‘মূল বিষয় হলো কীভাবে সেই পাওয়ার ব্যবহার করতে হয়, কাজে লাগাতে হয়, সেটা জানতে হবে। এখন যেভাবে ছেলেরা পাওয়ার হিটিং করছে, এটা একটা প্রক্রিয়া। এক সপ্তাহে, দুই সপ্তাহে হবে না। অবশ্যই পার্থক্য আসবে। কিন্তু এটা একটা প্রক্রিয়া, সেটা বুঝতে হবে। প্রক্রিয়ার ওপর ভরসা করতে হবে।’



শারিরীকভাবে বড়সড় না হওয়ায় বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই টাইমিং নির্ভর। এসব ক্রিকেটারদের নিয়েও কাজ করছেন উড, ‘ছোট গড়নের খেলোয়াড়দের টাইমিংয়ের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করতে হয়। যদি তাদের রিদম আর টাইমিং ঠিক হয়, মুভমেন্ট সঠিক হয়, তাহলে শটের দূরত্ব বেড়ে যাবে। তাই মূল বিষয় হলো, তাদের সেই দক্ষতা ও বোঝাপড়া দেওয়া যে, কীভাবে শরীরের ভেতর দিয়ে পাওয়ার বের করে হাতের মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। এটাই মূল কথা।’



টাইগার কোচ জোর দিলেন ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসের ওপরেও, ‘আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু বাংলাদেশি ক্রিকেটারের বড় সাফল্য অর্জনের মতো আত্মবিশ্বাস নেই। আবারও বলছি, এটা সম্পূর্ণ মানসিকতার ব্যাপার। যখন দলের বাইরে থেকে মানুষ বলে যে তারা এটা পারে না, ওটা পারে না- এটা সাহায্য করে না। বারবার কাউকে বললে যে সে কিছু করতে পারবে না, তাহলে সে বিশ্বাস করতে শুরু করে যে সত্যিই পারবে না। আমার কাজ হলো, তাদেরকে সঠিক সরঞ্জাম আর মানসিকতা দেওয়া যাতে তারা আত্মবিশ্বাস পায়।’