জহির শাহ্, বিশেষ প্রতিনিধি
রাজধানীর মিরপুর দুয়ারিপাড়া এলাকার আণবিক শক্তি ৫ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর এক তরুণের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সরেজমিন রিপোর্টিং করার পর থেকে জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা ও মাতৃজগত টিভি–এর সিনিয়র রিপোর্টার এস. এম. রফিককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রফিক দ্রুত রূপনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় কিছু স্থানীয় ব্যক্তি রফিককে গালিগালাজের পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দেন। এছাড়া মোবাইল ফোনে জানানো হয়, যদি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়, তবে রফিককে হত্যা করা হবে। এসব হুমকি ও ভীতিকর পরিস্থিতি সংবাদকর্মী ও তাঁর পরিবারের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ ইউনিটি প্রেস ক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহির শাহ্ বলেন, “সাংবাদিক এস. এম. রফিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। এটি কেবল একজন সাংবাদিকের নয়; পুরো গণমাধ্যম ও সমাজের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে। প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং হুমকি দাতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
ঘটনার পর থেকেই রফিক ও তাঁর পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হলে তারা তা মেনে নেবেন না এবং কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক চাপকে তারা স্বীকার করবেন না।
নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোও এই ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরেছে। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট থানা-প্রশাসন এ বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।
স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের প্রশ্ন একটাই—কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক কারণে সংবাদ প্রকাশ ও সত্য অনুসন্ধান বন্ধ করার হুমকি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। গণমাধ্যমের নিরাপত্তা এবং সাংবাদিকদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রতিটি গণতান্ত্রিক সমাজের মৌলিক দায়িত্ব। প্রশাসনকে তাই দ্রুত, স্বচ্ছ এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
