উত্তাল সমুদ্র। মুশালধারে বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। হোটেল কক্ষের বাইরে নামাই মুশকিল। গত চার দিন ধরে এভাবেই যাচ্ছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার আবহাওয়া। এমতাবস্থায় বিপাকে পড়েছেন দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। বৈরী আবহাওয়ায় আটকা পরা পর্যটকরা বাহিরে নেমে সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পাড়ায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে কেউ কেউ রয়ে গেছেন উত্তাল সাগরে বৃষ্টিবিলাস করতে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুশালধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় হোটেল কক্ষেই দিন পাড় করছেন পর্যটকরা। তাই অনেক পর্যটক বৃষ্টির বাগড়ায় হোটেলে সময় নষ্ট না করে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ রয়ে গেছেন; তারা বৃষ্টির মধ্যে সমুদ্রে নেমে বড় বড় ঢেউয়ের সঙ্গে দোল খাচ্ছেন। কেউ আবার প্রিয়জনকে নিয়ে একই ছাতার তলে সমুদ্রের বালিয়ারীতে হেঁটে সৌন্দর্য দেখছেন। বিভিন্নভাবে বৃষ্টিস্নাত দিনকে উপভোগ করতে দেখা গেছে অনেক পর্যটককে।
পর্যটক সুমন, সিকদার ও মোনা জানান, বৃষ্টির দিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিন্নধর্মী স্বাদ পেয়ে আনন্দিত তারা।
ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় বড়াতে আসা পর্যটক শরীফ বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটিতে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটা এসেছি। এমন আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছি। বৃষ্টিতে সব আনন্দই মাটি। এখন বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, যে সৈকত হাজার হাজার দর্শনার্থীর পদচারনায় মুখর থাকে, টানা চার দিনের বৃষ্টি এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেই সৈকতটি এখন পর্যটক শূন্য। পর্যটক কম থাকায় খালি পরে আছে হোটেল-রিসোর্ট। বেচাবিক্রি নেই খাবার হোটেল ও শুটকির দোকানে। বেকার বসে আছেন ক্যামেরাম্যানরাও। এ অবস্থায় কুয়াকাটার ব্যবসা বাণিজ্যে চরম ধস নেমেছে।
কুয়াকাটায় হোটেল রিসোর্টের সংখ্যা তিন শতাধিক। এসব হোটেলের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ রুমই এখন খালি পড়ে আছে। কাজ নেই হোটেল বয়দেরও।