দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। শুরুতেই ৫ উইকেট হারানো ধুকতে থাকা রংপুর শেষ অবদি ১৪৯ রান তুলেছে - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Wednesday, 28 February 2024

শুরুতেই ৫ উইকেট হারানো ধুকতে থাকা রংপুর শেষ অবদি ১৪৯ রান তুলেছে


খেলার প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। ফাইনালে ওঠার লড়াই পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। এমন ম্যাচে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাট করতে নেমে শামীমের ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর।


টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন শেখ মাহেদী ও রনি তালুকদার। তবে শুরটা ভালো হয়নি রংপুরের। এই জুটি ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই রংপুরের শিবিরে আঘাত হানেন সাউফউদ্দিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই মাহেদীকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের তালুবন্দী করেন তিনি। সাজ ঘরে যাবার আগে ২ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।


মেহেদী আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন সাকিব আল হাসান। তবে উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি টাইগার অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। সাইফউদ্দিনের বলে দলীয় ১০ রানে মুশফিকের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। সাজঘরে যাবার আগে ৪ বলে ১ রান করেন তিনি।


এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন জেমি নিশাম। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরু ধাক্কা সামাল দেবার চেষ্টা করেন ওপেনার রনি। তবে উইকেটে থিতু হয়ে নিজের ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন রনি তালুকাদরও। দলীয় ১৮ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। 


তাতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পরে রংপুর। সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলো চতুর্থ উইকেট জুটিতে জেমি নিশাম ও নিকোলাস পুরাণ। যেখানে তাদের ব্যাটে রংপুর আশা দেখতেছিলো ভালো কিছুর। কিন্তু সেই আশা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি বরিশাল। দলীয় ৪৮ রানে পুরাণ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। 


এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকেননি নিশামও। দলীয় ৪৮ রানে তিনিও ফেরেন সাজঘরে। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে থুকতে থাকা রংপুর ষষ্ট উইকেটে লড়তে থাকেন নবী ও সোহানের ব্যাটে। তবে এই উইকেটে জুটিতেও এদিন ভরসা দিতে পারেননি রংপুরদের।


দলীয় ৭৬ রানে নবী আউট হলে ভাঙে ২৮ রানের এই জুটি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ১২ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক সোহানও। সাজঘরে যাবার আগে ১৭ বলে ১৪ করেন তিনি।


শেষ দিকে শামীমের ঝড়ো অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। ২৪ বলে ৫৯ রানে শামীম ও ৯ বলে ১২ রানে অপারিজত থাকেন আবু হায়দার রনি। বরিশালের হয়ে বল হাতে জেমস ফুলার নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।