খেলার প্রতিনিধি :
ক্যাচ মিস মানেই তো ম্যাচ মিসের প্রবাদ বাক্যটি মনে পড়ে যায়। আজ বিপিএলের ফাইনালে জাতীয় দলের বি টিম খ্যাত বরিশালের অধিনায়ক তামিম টসম জিতে লিটনের কুমিল্লাকে ব্যাট করতে পাঠায়। কোনক্রমে কুমিল্লা ১৫৪ সংগ্রহ করে। যা ফাইনাল জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭ বল না খেলেই বরিশাল ১৯ ওভারে ১৫৭ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে প্রথম বার বিপিএল শিরোপা জিতে নেয়। ৬ উইকেটে ফাইনালে হেরে যায় কুমিল্লা।
মুলত টস হার আর ২০ ওভারে ১৫৪ সংগ্রহ করার পরই কুমিল্লার টানা ৩ বার আর মোট ৫ম বার বিপিএল জেতার স্বপ্নটা অন্ধকারে হারিয়ে যায়। ৪২ রানে ৩ উইকেট হারানো কুমিল্লা যে ১৫৪ রানে যেতে পারবে সেটাই চিন্তা করা যায়নি।
কুমিল্লার টপ অর্ডারের সুনীল নারিন ৫, লিটন দাস ১৬, নির্ভরযোগ্য হৃদয় ১৫, জনসন ১৫ আর মঈন আলীর ৩ রানে রান আউট কুমিল্লাকে তখনই ফাইনাল থেকে ছিটকে দিয়েছে।
ফাইনারটা যে এক তরফা হতে চলেছে সেটা প্রথম ইনিংস দেখেই পরিষ্কার হয়ে যায়। সেটা প্রমান করে দেয় বরিশালের তামিম আর মিরাজের ৭৮ রানের ওপেনিং জুটি। তামিম ২৬ বলে ৩ বাউন্ডািরি আর ৩ ছক্কায় ৩৯ রানে মঈন আলীর বলে বোল্ড হন, অন্যদিকে মিরাজ মায়ারকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলার চেষ্টা বিফল করলেন সেই মঈন আলী।
মিনাজ ২৬ রান করে মঈনে বলে ক্যাচ দিলেন, ২ উইকেটে ৮২ রানে থাকা বরিশালের ওভার শেষ ৯.৩। এরপর মায়ার পাশে পেলেন মুশফিকরি রহিমকে। ৩য় জুটিতে বরিশাল ১৪০ রানে পা রাখে মায়ারের ৪৬ রানে ভর করেই।
প্রথম বারের মতো বিপিএলের ট্রফি হাতে নিতে বরিশালের দরকার ২৪ বলে মাত্র ১৫ রান, আর হাতে ছিল অক্ষত ৮টি উইকেট।
১৫ ইনিংসে ৩৩.১৪ এভারেজ নিয়ে ৪৯২ রান জমা করে তামিম বিপিএলের সেরা ব্যাটসম্যান হন। আর তৌহিদ হৃদয় ১৪ ইনিংসে ৩৮.৫০ এভারেজে ৪৬২ রানে দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান হন।
অন্যদিকে বিপিএলে সেরা বোলার হন ঢাকার হয়ে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট শিকারী শরিফুল এবং তারকা সাকিব আল হাসান রংপুরের হয়ে ১৩ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে দ্বিতীূয় সারিতে আছেন।