দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ২৮ অক্টোবর ট্রাজেডি : ৪ বছরের নূরজাহান মায়ের জামিনের জন্য হাইকোর্টে - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Monday, 4 March 2024

২৮ অক্টোবর ট্রাজেডি : ৪ বছরের নূরজাহান মায়ের জামিনের জন্য হাইকোর্টে


আইন-আদালত : 
গত ২৮ অক্টোবরের হামলাকে কেন্দ্র করে বাবা হামিদ ভূঁইয়ার পরিবর্তে চার বছরের ছোট্ট নূরজাহানের মা হাফসা আক্তার পুতুলের বিষয়ে জামিন আদেশ আগামীকাল মঙ্গলবার। সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য কালকের দিন ধার্য করেন আদালত।



শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, এই মহিলা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন আসামি হিসেবে। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, মাই লর্ড সিসিটিভি ফুটেজ আছে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও আছে। পরে হাইকোর্ট বলেন, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখবো। কাল আনেন। 


গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রচারিত ‘বাবা ঘরে আসুক, কারাগার থেকে ফিরুক মা’ শীর্ষক এক সংবাদে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে হামিদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির কর্মী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মা হাফসা আক্তার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। মা-বাবার জন্য কাঁদছে চার বছরের ছোট্ট নূরজাহান। 


তবে এ বিষয়ে ডিএমপি প্রতিবাদ জানিয়ে বলে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়া সম্পর্কে ২৯ নভেম্বর পত্রিকাটিতে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা সঠিক নয়।


প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত হাফসা আক্তার পুতুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গত ২০ নভেম্বর বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন ডিএমপির কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ককটেল হামলার সাথে জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান সনাক্ত করে পুলিশ। এরপর গত ২৬ নভেম্বর শ্যামপুর থানার গ্লাস ফ্যাক্টরির গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাফসা আক্তার পুতুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত থেকে ককটেল হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ককটেল বিস্ফোরণের সময় ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ফুটেজেও এই মোটরসাইকেল ও ভ্যানিটি ব্যাগ দেখা গেছে। 


গ্রেপ্তারের পর হাফসা আক্তার পুতুলকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ২০ নভেম্বর অন্য একটি মামলায় তার দেবর আঃ রহমানকে কোর্টে আনবে এমন তথ্য পেয়ে পুতুল তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়া ও তাদের ছোট মেয়েসহ মোটারসাইকেলে করে বাসা থেকে কোর্টের উদেশ্যে রওয়ানা দেয়। তারা প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি রাখে। তারা সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানকালে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী পুতুলের কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে একটি ককটেল রাখতে দেয়। পরে তারা আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ৪র্থ তলায় উঠে। সেখানে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী পুতুলের ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ককটেলটি বের করে আদালত প্রাঙ্গণে ছুড়ে মারে। যার ফলে ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ রিমান্ড শেষে হাফসা আক্তার পুতুলকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।


 
ডিএমপি আরও জানায়, হাফসা আক্তার পুতুলের স্বামী হামিদ কোতোয়ালী থানায় ২০ নভেম্বর দায়ের করা মামলার আসামী। এই মামলা দায়েরের পর থেকে তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।