নিয়তি যেন এমনটাই চেয়েছিলেন। সাদমান ইসলাম তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই পাক। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০২১ সালে পাওয়া সাদমানের তিন অঙ্কের সেই ইনিংসের বয়স ৩ বছর ৯ মাস ২৩ দিনে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় ৪ ফিফটি করলেও কোনোটাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি। গত বছর খুব কাছে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেদিন ৯৩ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে নিয়তি যেন চেয়েছিলেন সেঞ্চুরির খরাটা কাটুক বাঁহাতি ওপেনারের প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই।
সেই চাওয়া অনুযায়ী আজ চট্টগ্রাম টেস্টে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন সাদমান। তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। তাতে যেন সমালোচনাকারীদের একটা বার্তাই দিয়ে রাখলেন তিনি। মুখে নয়, এভাবে ব্যাটেই জবাব দেবেন। সেঞ্চুরি খরা কাটানোর দিনে একটা মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন।
টেস্টে ক্যারিয়ারে হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন সাদমান। ৯৩৯ রান নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। চার অঙ্কের ঘর স্পর্শ করে বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে নিজের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেছেন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটার।
আউট হওয়ার আগে ১২০ রানের ইনিংস খেলেছেন। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১১৫ রান। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৬ চার ও ১ ছক্কায়। সাদমানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। যদি টানা দুই বলে ফিরেছেন মমিনুল ইসলাম ও সাদমান। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের থেকে এখনো ২২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশে। মমিনুল ইসলাম ৩৩ রানে আউট হওয়ার আগে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়েন সাদমানের সঙ্গে।
এর আগে জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানের বিপরীতে খেলতে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার সাদমান ও এনামুল হক বিজয়। তাতে ৩২ ইনিংস পর ওপেনিংয়ে সেঞ্চুরির জুটি পায় বাংলাদেশ। তিন বছর পর টেস্টে খেলতে নেমে ৩৯ রানে আউট হয়েছেন বিজয়।
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৫। ব্যাটিংয়ে আছেন দুই নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের ৯ রানের বিপরীতে ২ রানে অপরাজিত অধিনায়ক শান্ত।