দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। কোরবানির আগে এলাচের দাম বাড়বে - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

Wednesday, 28 May 2025

কোরবানির আগে এলাচের দাম বাড়বে


অর্থনীতি প্রতিবেদক :

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চট্টগ্রামের মসলার বাজারে ব্যস্ততা তুঙ্গে। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীদের ভিড় বেড়েছে। ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে নানা ধরনের মসলা কিনে নিচ্ছেন। এলাচ, জিরা, দারচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, হলুদ, মরিচসহ বিভিন্ন মসলার বেচাকেনায় বাজার সরগরম। 


তবে, অন্যান্য মসলার দাম তুলনামূলক সহনীয় থাকলেও এলাচের দাম আকাশছোঁয়া। পাইকারি বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪,৫০০ থেকে ৫,৫০০ টাকায় আর খুচরা বাজারে ভালো মানের এলাচের দাম পৌঁছায় ৫,৮০০ থেকে ৬,০০০ টাকায়।


খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বাজারে মসলার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, তাই দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলাচের বুকিং রেট বেশি থাকায় এর দাম বাড়তি। খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাইকারি ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, এলাচ ছাড়া অন্যান্য মসলার দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিছু মসলার দাম কমেছে। তবে, এলাচের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। বৈশ্বিক বাজারে দাম বাড়ায় আমাদের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।’


খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে জিরা প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, দারচিনি ৪৫০ থেকে ৫০০, লবঙ্গ ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০, গোলমরিচ ১ হাজার ২০০, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ২৩০ এবং হলুদ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা বাজারে এসব মসলার দাম আরও বেশি। নগরীর বিভিন্ন বাজারে এলাচ ৫,৮০০ থেকে ৬,০০০ টাকা, জিরা ৭০০, দারচিনি ৫৩০, লবঙ্গ ১,৫০০ টাকা এবং গোলমরিচ ১,৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 


দেওয়ান বাজারের আজমির স্টোরের মালিক নাছির উদ্দিন বলেন, এলাচের দাম শুনে ক্রেতাদের কপালে ভাঁজ পড়ছে। নিম্নমানের এলাচ নিতে ক্রেতারা আগ্রহী নন, আর ভালো মানের এলাচের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কম পরিমাণে কিনছেন। এতে খুচরা ব্যবসায়ীরা উভয়সংকটে পড়েছেন। তিনি আরও জানান, ঈদের মৌসুমে চাহিদা বাড়লেও এলাচের চড়া দাম বিক্রি কমিয়ে দিচ্ছে। 


কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ঈদ কেন্দ্র করে কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে মসলার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাজারে পণ্যের একাধিক হাতবদলের কারণে দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়ছে, ফলে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাচ্ছেন না। 


তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে ক্রয়-বিক্রয়ের সঠিক তথ্য দেন না, যার কারণে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা কঠিন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর উচিত কাস্টমস থেকে আমদানি ব্যয়ের তথ্য সংগ্রহ করে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা।’


মসলার দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। আসন্ন ঈদের বাজারে ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে বাজার মনিটরিং জোরদার করা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।